চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা সিভিল সার্জন অফিসের অধিনে খুলনা সদর হাসপাতালসহ ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সংক্রামক ব্যাধি, আরবান ডিনপেনসারি,সদর, টুটপাড়া,খালিশপুরে নিয়োগকৃত ২১১জন আউট সোর্সিং কর্মচারিদের মেযাদ বাড়ানোর জন্য খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, আউট সোর্সিং কর্মচারিদের নিয়োগ বাদ হোক এটা আমরা কখনও চাইনা। এতে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে সমস্যা হবে। যে কারণে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ডিজি অফিসে চিঠি দিয়েছি। তারপরও যদি আমাদের পুনারায় দরপত্র আহবান করার প্রয়েজোন হয়, তাহলে যে সকল আউট সোর্সিং কর্মচারিরা করোনা সংক্রামনের কঠিন সময়ে কাজ করেছেন, জীবনের ঝুকি নিযে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে আমরা বাদ না দেওয়ার অনুরোধ করব নতুন ঠিকাদারকে। তারপরও আমার মনে হয় মেয়াদ বাড়ানো যাবে। অভিযোগ আছে আউট সোর্সিং কর্মচারি কোন কাজ করেনি। তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন রয়েছে এবং অন্যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে এমন অনেক অভিযোগ আছে। তিনি বলেন, আউটসোর্সিং কর্মচারি সরবরাহের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য খুলনার মেয়র ও দুইজন এমপি এই চিঠিতে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু ডিজি অফিস থেকে বারবার বলা হচ্ছে নতুন করে দরপত্র করতে। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
খুলনার সদর হাসপাতালের কর্মচারি মোহাব্বাত হোসেন বলেন নতুন ঠিকাদার বা পুরানো ঠিকাদার যে কাজ করুক আমাদের কোন আউট সোর্সিং কর্মচারিদের নিয়োগ বাদ হলে আমরা প্রয়োজোনে রাস্তায় নামবো। আমরা করোনার সম্মুখ যোদ্ধা, জীবনের ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা দেযার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এখন মেযাদ বাড়ানো হোক বা না হোক আমরা কেউ কর্মস্থল ছেড়ে যাবোনা।
উল্লেখ,অভিযোগ আছে খুলনা সদর হাসপাতালসহ ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সংক্রামক ব্যাধি, আরবান ডিনপেনসারি,সদর, টুটপাড়া,খালিশপুরে নিয়োগকৃত ২১১জন আউট সোর্সিং কর্মচারি নিয়োগে তৎকালীন খুলনা সিভিল সার্জন ডঃ আব্দুর রাজ্জাক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম শফিউর রহমান,ঐ অফিসের প্রধান সহকারী এস এম মোহসীন আলীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে পাশ কাটিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আউট সোর্সিং কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হয় ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক কর্মচারী বলেন, নিয়োগের সময় তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন। টাকা লেনদেনের মাধ্যম ছিল ওই কমপ্লেক্সের হিসাবরক্ষক। নিয়োগের এ অনিয়মের ফলে তারা দির্ঘদিন যাবত বঞ্চিত হন বেতন থেকে । আউট সোর্সিং কর্মচারিরা বকেয়া বেতনের জন্য মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে ।
গত বছরের ২৬ মে খুলনা সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত পদায়নপত্রে বলা হয়- কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ জন, বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২ জন, রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, কপিলমুনি ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে তিনজন, পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন এবং দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন, নগরীর টুটপাড়া সদর আরবান ডিসপেনসারিতে ১১ জন, ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ৩১ জন, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জনকে পদায়ন করা হয়।