অনলাইন ডেস্কঃফেসবুকে কুৎসা রটানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১ ধারায় শাহীন রহমান (৪২) নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন (নং-১২)।আসামি শাহীন রহমান খুলনা থানাধিন বাগমারা মেইন রোড এলাকার ২নং রোডের ৯৫নম্বর বাড়ির আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এটিএন বাংলার ব্যুরো প্রধান এস এম হাবিব’র ছবিসহ তাকে নিয়ে শাহীন রহমান নিজের ফেসবুক পেইজে জায়গা-জমি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আপত্তিকর একটি পোষ্ট দেন। তার ফেসবুকের ওই পোষ্ট দেখে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেন।অন্যান্য সাংবাদিকদের মুখে এসএম হাবিব তার বিরুদ্ধে শাহীন রহমানের ফেসবুকে ওই আপত্তিকর পোষ্টের বিষয়ে জানতে পারেন।
পরবর্তিতে তিনি প্রেসক্লাবে এসে সেই পোষ্টটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেখতে পান। এরপর এঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে খুলনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।মামলায় আরও বলা হয়, শাহীন রহমান তার নিজস্ব ফেসবুকে খুলনার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সম্মানী ব্যক্তিদের নিয়ে তার নিজের ফেসবুকে নানা ধরনের আপত্তিকর পোষ্ট দিয়ে থাকে। সে সকল বিষয়ে নিয়েও প্রমানাদি পুলিশের কাছে জমা দেয়া হয়।মামলায় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, দৈনিক কালেকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক কৌশিক দে, ডিবিসি টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুল জানান, ফেসবুকে কুৎসা রটানোর অভিযোগ শাহীন রহমান নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।
জানাগেছে,শাহিন রহমান এক সময়ে খুলনায় বসবাস করতেন । বর্তমানে তিনি পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন এবং একটি অনলাইন নিউজ পোটাল প্রথমসময়ের প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । শাহিন রহমান তার এই অনলাইন পোটালে খুলনা রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সময় কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে তাদেরকে ব্লাক মেইলিং করা তার নিত্যনৈমিত্বিক ব্যাপার । সে এক সময়ে জাপানেতা মরহুম আবুল কাশের ঘনিষ্ঠ সহচর । র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত আসাদুজ্জামান লিটু,দরবেশ নেতা সফিকুল ইসলাম মুসফিকসহ তৎকালীন খুলনার আন্ডার ওয়াল্ডের শীর্ষদের সাথে তার গভীর সখ্যতা ছিলো ওপেন সিক্রেট । শাহিন রহমান আড্ডাই ছিলো,কাসেম সাহবের চেম্বার অফিস ও লিটুর ব্যাক্তিগত কাযালয়ে । খুলনার অনেক রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের সাথে শাহিন রহমান রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ।শাহিন রহমান প্রায়ত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের বোন মেরিনা রহমানের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক জনতার খুলনায় রিপোটার হিসেবে কাজ করতেন । আর কাজের সুযোগটি তিনি নিয়েছেন বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তৎকালীন নগর জাপার প্রভাবশালী নেতার মেয়েকে টিইশনি পড়িয়ে ।শাহিন রহমান সব সময় সমাজের নেতা,ব্যাবসায়ী এবং ক্ষমতাশালী লোকদের তেলমারা,পামপট্রি দিয়ে চলতেন । তার প্রতিটি কাজর একটি না একটি উদ্দেশ্য থাকে । আর সেই উদ্দেশ্য সাধনে যার থালায় ভাত খাবেন তার থালায় পায়খানা করতে তিনি কখনো দ্বিধা করেন না । খুলনার রাজনৈতিক নেতা ও ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে কি ভাবে সুযোগ সুবিধা,নগত টাকা হাতিয়ে নিবেন তার কৌশলের তেল মারাটা বেশ ভিন্ন । তিনি সব সময় নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক ও ঢাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের সাথে রয়েছে বেশ সখ্যতা তার প্রমান হিসেবে তিনি সেই ব্যাক্তিদের সাথে সেলফি বা ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট এবং সেই নেতা বা ব্যাবসাীকে এমন ভাবে উপস্থাপন করবেন সে ভাবতেই পারবে না পরবর্তীতে তার থেকে শাহিন রহমান আর্থিক সুবিধা গ্রহন করবেন । শাহিন রহমান বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনার প্রভাবশালী পরিবারের নাম ব্যাবহার করে অন্যকে সাইজ করতে বেশ পটু । যেমনটা করছেন খুলনা সাংবাদিক যগতের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তিত্ব খুলনা প্রেসক্লাবের তিন বারের সভাপতি এস এম হাবিবকে নিয়ে ।