চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ দিঘলিয়া উপজেলার ০২ নং বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের বিভিন্নঅনিয়ম ও অত্যাচার ও দূর্নীতির অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবিতে রবিবার সকাল ১০ টায় দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটিতে মহিলারা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে । মানবন্ধন শেষে দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গাজী ফরহাদ হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন । তিনি বলেন জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করে ইউপি চেয়ারম্যান বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন । ২০০১ সালে জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় এলে সে স্থানিয় ইলফা বাহিনির সাথে মিশে সরোয়ার মোল্লাকে নিয়ে এলাকায় তান্ডব সৃষ্টি করে । জনগন এর প্রতিবাদ করা শুরু করলে এ ঘটনা আড়াল করতে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন গত ১৩ জুন সংখ্যালঘু মহিলাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন নাটক তেরি করেন । ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন, সংবাদ সম্মেলনে দিঘলিয়া তথা বারকপুর ইউনিয়ন এর প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা শেখ হাুিফজুর রহমান ও বারাকপুর বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ আনছার হোসেন কে জরিয়ে মিথ্যা মনগড়া কথা বক্তব্য প্রচার করে। গাজী ফরহাদ হোসেন বলেন হাফিজুর রহমান একজন নিরিহ প্রকৃতির মানুষ তিনি সমাজের রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজের সাথে জড়িত নয়। কিছু দিন পূর্বে তিনি ঢাকা মেডিকেল (পি জি) হাসপাতাল থেকে স্বাইলাল অপারেশন হন । এখনও তিনি পরিপূর্নসুস্থ হয় নি । তিনি জোরে চলাফেরা করতে পারেন না , এরকম একজন মানুষ কি ভাবে একটা বাহিনির লিডার হয় বা বাহিনী চালায় । শেখ হাফিজুর রহমান ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগ পরবর্তিতে বারাকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । বৃহও¦র ৩ টি ওয়ার্ড ভেঙ্গে যখন ৯ টি ওয়ার্ড হয় তখন শেখ হাফিজুর রহমান ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । ২০০৩ সালে বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক , ২০১৪ থেকে ২০১৫ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব , এবং বর্তমানে দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংকৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন । আনছার শেখ একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য, সেনা সদস্যরা কখনও কোন বাহিনী গঠন ,সমাজ বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজ করতে পারে না । অবসর নেওয়ার পর থেকে তিনি এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজ , ও বারাকপুর বাজারের অসহায় দোকানদার দের পক্ষ কথা বলতে শুরু করেন । এমনকি সদ্যসমাপ্ত বারাকপুর বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান জাকির গাজী সংবাদ সম্মেলনের নামে আষাড়ে গল্প বলেছেন। যেটা বারাকপুর ইউনিয়নের সাধারন মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করেছে । সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য সম্পূর্ন মিথ্যা , ভিত্তিহীন বানোয়াট । শেখ হাফিজুর রহমান ও শেখ আনসার দীর্ঘ দিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত । গাজী জাকির একজন পান দোকান দার ছিলেন , শশুর বাড়ী দেওয়া মটর সাইকেল তুহিন এর কাছে বিক্রি করে সংসার চালায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলী গ ক্ষমতায় এলে সে বারাকপুর ইউনিযনের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের উপবৃত্তির চাউল গম এর ডিলার হয়, এই চাউল গম ১৫ কেজি করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সে কখনও ৭-৮ কেজির বেশি দেয়নি, এবং যারা কথা বলতে গেছে তাদের মারপিট করেছে, এবং সংখ্যালঘুও দলীয় নেতা কর্মিদের নির্যাতন করেছে ।এসময়ে সে বারাকপুর বাজার কমিটির সভাপতি অশোক কুন্ডুকে মারপিট করেছে, ও তার ভগ্নিপতি আজিজুল কে দিয়ে তৎকালিন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি খাঁন আঃ জলিল এর মাথা ফাটিয়েছে । দলীয় নেতা কর্মীরা খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সাধারন সম্পাদক ওখুলনা ৪আসনের সাবেক এম, পি ,জনাব ,এস, এম মোস্তফা রশিদী (সুজা ) সাহেবের কাছে চাউল গম চুরি নির্যাতনের বিচার দাবি করে ।বিচারে সে দোষীসাব্যস্থ হয় । তখন প্রয়াত সাবেক এমপি সুজা সাহেব গাজী জাকির কে দল থেকে বহিষ্কার করে, সুতারাং সরকারী মাল আত্মসৎ ও মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন গাজী জাকিরের নতুন কিছুনয়। লিখিত বক্তব্যে গাজী ফরহাদ হোসেন বলেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকিরের অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে সাধারন মানুষ যখন রাজপথে নেমে এসেছে ,তখন সে প্রশাসনের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত বিএনপি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কালো টাকা দিয়ে বারাকপুর ইউনিয়ন এর শত শত ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের নামে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে । ইতিমধ্যে তার নামে অভিযোগের পাহাড় জমলেও কোন এক অদৃশ্য কালো ছায়ায় তা ঢাকা পড়ে যায়, তিনি আরও বলেন জননেত্রি শেখ হাসিনা যখন দিনরাত পরিশ্রম করে দেশকে দুর্নিতী মুক্ত করার লক্ষ নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন । তখন দীর্ঘদিন দলের নাম পরিচয় ব্যাবহার করে , বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন সাধারন মানুষের উপর জুলুম করে যাচ্ছে , এসময় গাজী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ পুনরায় নিরপক্ষ তদন্ত দাবি জানানো হয় । এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ – সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান , ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক মন্ডলির সদস্য ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ শাখায়ত হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মুন্না শেখ সহ স্থানিয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠেনর নেতৃবৃন্দ ।