আন্তর্জাতিক ডেস্কঃগালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন রাতে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর ঘটনা অবশেষে স্বীকার করেছে চীন। ওই সংঘর্ষের ঘটনা ভারতের বিহার রেজিমেন্টের এক কর্নেল ও ১৯ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। চীনের দিকেও প্রচুর হতাহত হয়েছে বলে ভারত দাবি করলেও চীন এ বিষয়ে এতোদিন মুখ খোলেনি।
ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, সোমবার পূর্ব লাদাখের চুশুলে চীন নিয়ন্ত্রিত মলডো এলাকায় দ্বিপাক্ষিক কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে চীনা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করা হয়েছে। গালওয়ানের ঘটনার পরে এই প্রথম চীন সেনা মৃত্যুর খবর স্বীকার করল। সেদিনের সেই সংঘাতে ৭৬ জন ভারতীয় সেনা আহত হয়েছিলেন। যাদের জম্মু ও লেহর সেনা হাসপাতাল চিকিৎসা চলছে। আগামি একসপ্তাহের মধ্যেই তারা সকলেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন।
গালওয়ানে ভারত ও চীনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ সহ বিতর্কিত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ফের ভারত ও চীনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনায় বসছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈঠকের বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, ‘গালওয়ান এবং ফিঙ্গার্স এলাকা নিয়ে তো আলোচনা হবেই, সেই সঙ্গে অন্য সমস্ত ইস্যু নিয়েও আলোচনা করা হবে।’ এর আগে গত ৬ জুন এমন আরেকটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, ভারত-চীন সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখান থেকে চীন তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। কিন্তু তারপরে ১৫ জুন মধ্যরাতে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে, যাতে প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় সেনার ও আহত হন কমপক্ষে ৭৬ জন। সূত্র- এনডিটিভি।