চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১৬ জুলাই দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২১ দিন রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে এবং বিধি-নিষেধ জারি থাকবে
এদিকে, নগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৮টি সড়কের প্রবেশ দ্বারে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। এসব স্থানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পালনে আরও কঠোর হওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, লকডাউন সফলভাবে পালন করতে বৃহস্পতিবার পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। একাধিক এলাকায় পুলিশকে ব্যারিকেড করতে দেখা গেছে। লকডাউন ভেঙে যাতে কেউ বাইরে না বের হয়—সে বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারও চলছে।
কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, রেড জোনে ঢোকা-বেরনোর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি হবে। লকডাউন সফল করতে ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৮টি সড়কের প্রবেশ দ্বারে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। এসব স্থানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বাইরের লোককে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এলাকা থেকেও যাতে বাইরে কেউ বেরোতে না পারেন সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখবে পুলিশ।
এদিকে, পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করতে বিধি-নিষেধ জারি করেছেন খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এর মধ্যে রয়েছে—রেড জোনে চাকরিজীবীরা বাসা থেকে অফিসের কাজ করবেন। জরুরি প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল, নিজস্ব গাড়িসহ কোনও যানবাহন চলবে না। অ্যাম্বুলেন্স সেবা এই আদেশের আওতাবর্হিভূত থাকবে। এসব এলাকায় কলকারখানা বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনও ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন। অন্য এলাকা হতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। শপিংমল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও উপাসনালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করতে পারবেন। অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে ইবাদত করবেন।
সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও কাঁচাবাজার এর আওতামুক্ত থাকবে।