চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষিকা ও তালাক প্রাপ্ত পুত্র বধুর নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী। ঘটনাটি ঘটেছে কয়রা উপজেলা কালিকাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় আতংকিত শ্বশুড় রুহুল আমিন গাজী বাদী হয়ে কয়রা থানায় জিডি করেছেন। যার নং-৬১৪, তাং-১৭/৬/২০ইং। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হোসেন বলেন, এমনই খবর তাকে অবগত করা হয়েছে। জিডি তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, রুহুল আমিন গাজীর ছেলে ইয়াছিন আলী খুলনা নগরীতে সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সাথে তিনি খুলনার খালিশপুরে ভাড়াবাসায় বসবাস করেন। ২০১৫ সালে ইয়াছিন আলী পিতার অমতে খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে করে খুলনায় বসবাস করে আসছেন।
গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ছেলে ইয়াছিন বাড়িতে আসে। এ সুযোগে বউ মা মংলায় বাবা বাড়ি চলে যায়। কয়েক দিন পর গত ১৮ মে আমার ছেলে বউ জান্নাতুল ফেরদৌস কয়রায় তার বাড়িতে এসে অসামাজিক কার্যক্রম শুরু করে। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন গাজী জানতে পারেন, তার ছেলে গত ১৯ মার্চ তার বউমাকে তালাক দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ছেলেকে বকাঝকা করলে সে পরের দিন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে ছেলের মোবাইল নাম্বার বন্ধ রয়েছে।
এদিকে তালাকপ্রাপ্ত বউ মা রুহুল আমিন গাজীর বাড়িতে অবস্থান করায় তারা শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতনের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মারাত্নক হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। এমন কি বউমা নিজের ক্ষতি নিজে করে রুহুল আমিন গাজীর পুরো পরিবারকে শেষ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। এতে করে বৃদ্ধ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। অবিলম্বে তালাকপ্রাপ্ত বউমাকে তার বাড়ি থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন এই ভুক্তভোগী শ্বশুড়। এছাড়াও বিগত দিনে পুত্র বধুর উচ্ছৃংখল আচরণের কারণে তিনি পূর্বেও পুত্রবধুর নামে কয়রা থানায় জিডি করেন।
শিক্ষক ইয়াছিন আলী জানান, নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত থাকার কারণে জান্নাতুল ফেরদৌসকে একাধিকবার তালাক দেয়া হয়। সে আমার বৃদ্ধ পিকা-মাতাকে নানাভাবে লাঞ্চিত করেছে। সে পারকীয়া জড়িত। আমিসহ আমার পরিবার তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।