নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদকের নেশায় ‘বুথ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে আড়ংঘাটা থানা এলাকা। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন শ্রেণির হাজারো মানুষ চলাচল এই থানা এলাকায় । মাদকের নেশায় আসক্তদের তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা রয়েছে । অবাধে চলাচল বেড়ে গিছে। বর্তমানে আড়ংঘাটা হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। তবে ফেনসিডিল, ইয়াবা চেয়ে গাঁজার চাহিদা আড়ংঘাটা বেশি বলে এক অনুসন্ধানে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আড়ংঘাটা মাদকের ব্যবসা করছেন এমন তথ্যও পাওয়া গেছে। মাদক বিক্রির তালিকায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরা জড়িত বলে জানা গেছে। প্রভাবশালীদের কারণেই প্রশাসন রয়েছে ‘নীরব’। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চলে আসার কারণেই আড়ংঘাটা এখন মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবকেরা। মাদক বিক্রি ঠেকাতে কয়েকজন উদ্যোগ নিলেও প্রভাবশালীদের কারণে তা ভেস্তে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, আড়ং ঘাটা উওর পাড়ার বাসিন্দা প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক আমজাদ শেখের ছেলে মইনুল ইসলাম মইন শেখ মাদকের ব্যবসার ডিলার হিসাবে পরিচিত। এ ছাড়া মাদকের ব্যবসায় সাথে জড়িতো রয়েছে বেশ কয়েক জন। মূলত হোতা মইন শেখর টাকায় কেনা হয় মাদক। আর ডেলিভারিম্যানেদের সাহায্যে মাদক বিক্রি হয় বিভিন্ন স্পটে। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয় আড়ংঘাটায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়ং ঘাটা মাদকদ্রব্য আসে পার্শ্ববর্তী খালিশপুর ,দৌলতপুর, ফুলতলা থানা এলাকা থেকে। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের। উল্লেখ্য গত শনিবার সকালে ১১টা দিকে আড়ংঘাটা মোড়লপাড়া এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল মোঃ রিপন আটকের পর বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য গুলো। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় শনিবার সকালে রিপন দত্তর বাড়িতে ডিবি অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ রিপনকে আটক করে । এসময় মইন শেখ দৌড়ে পালিয়ে যায়। রিপন দত্তের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে রাত ৭টা দিকে দৌলতপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ মইন শেখ কে গ্রেফতার করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড় বৃষ্টির মার চা দোকানের সামনে থেকে ২৫০গ্রাম সহ শুকুরে ছেলে মোঃ সুমন কে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এবিষয় কেএমপি ‘র মুখপাত্র কানায় লাল বলেন, মাদকদ্রব্য উপর পুলিশ সবসময় জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে থাকে। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে মহানগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আটজন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।