অনলাইন ডেস্কঃখুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে (২১) দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান, ওই দিনের কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগকারীনি ওই নারী এ মামলার বাদী। গত শুক্রবার রাতে জিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশে এ মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে জানান, ওসির বর্তমান দায়িত্বে থাকা এসআই অসীম কুমার দাস।
তিনি জানান, খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ওসি উছমান গণিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যা নিবারণ আইনে মামলা হয়েছে। এ মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী নিজেই। ইতোমধ্যে ওসি উছমান গনি ও এএসআই নাজমুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বলেন, তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। তবে এ সময় আরো বাড়তে পারে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আদালতের নির্দেশে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলো।
অপরদিকে উক্ত ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদসহ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, পুলিশ পরিদর্শক শ ম কামাল হোসেইন ও মোঃ বাহারুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট শুক্রবার বেনাপোল থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে ওই নারীকে আটক করে খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ। ওই নারীর অভিযোগ, মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ দিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে ওই রাতে থানা হাজতে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে মারধর ও ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার ওই নারী খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। আদালত তার জবানবন্দী গ্রহণ করে তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।