রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : রামপালের শোলাকুড়া দক্ষিনপাড়ার একমাত্র সংযোগ সড়কটি বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার গ্রামবাসী। একদিকে সদ্য খননকৃত রেকর্ডিয় খালে ভাঙ্গনে রাস্তার বেশকিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন। তার উপর লাগাতর বৃষ্টির কারনে নদীর পানির স্তর বেড়ে কাদাজলে একাকার জনদূর্ভোগ চরমে।
রামপালের গিলাতলা মেইন রোড এর দেয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন তেতুলতলা এলাকা থেকে প্রায় ৩/৪ কিঃমি ভিতরে বাইনতলা ইউনিয়নে অবস্থিত শোলাকুড়া দক্ষিনপাড়া গ্রাম। কয়েক হাজার গ্রামবাসীর জন্য এই একটি মাত্র সংযোগ রাস্তা হলেও কোনো কালেই রাস্তাটি বাস্তবায়িত হয়নি। দেখাগেছে, গ্রামবাসীরা নিজেরা কিছু স্থানে মাটি ভরাট করেছিলো কিন্তু সদ্য খনন করা রেকর্ডিয় খালে ভাঙ্গনের কারনে রাস্তার অনেকাংশই নদীগর্ভে বিলীন। এখন সেখানে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
মোঃ হাফিজুর রহমান, শেখ আবু তাহের,ইসমাইল হোসেন,তৈয়েব,মোসলেম মল্লিক,আনিছ মল্লিক,আবু হান্নান সহ আরো ২০/৩০ গ্রামবাসী আক্ষেপ করে বলেন, এই গ্রামে ৩/৪ হাজার লোকের বাস। রাস্তার কারনে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করে চলাচল করতে পারিনা। মসজিদ, মাদ্রাসা বিদ্যালয়ে যাতায়েত করতে এবং পানি আনতে গেলে আমাদের একরকম পানিতে সাতার কেটে যাওয়া লাগে। বর্ষাকালে এলাকার ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়েত এর মাধ্যম নৌকা।
বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাস্তাটির ব্যাপারে আমি নিজে অবগত আছি এবং কয়েকবার পরিদর্শনে গিয়েছি। তবে এই রাস্তার জন্য যে ফান্ড প্রয়োজন তা আমার ইউনিয়ন পরিষদের নেই। বিষয়টি আমি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক ও বন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি।
রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলজার হোসেন জানান, এই মূহূর্তে আমাদের চলমান কোনো প্রকল্প নেই। যদি প্রকল্প আসে তখন আমরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই রাস্তাটি করে দিতে পারবো।
এই রাস্তাটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রামপালের সংসদ সদস্য ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসী।