চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃরিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে ধরতে র্যাবের সব ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘সাহেদকে ধরতে র্যাবের পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্ববোধের চাপ আছে। সেই চাপ থেকেই আমরা তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে র্যাবের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় র্যাবের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘সাহেদকে গ্রেপ্তার না করতে উপর মহল থেকে র্যাবের প্রতি কোন বাধা বা চাপ নেই। অবশ্য এটা চাপ আছে, সেটা হলো- আমাদের পেশাদারিত্বের এবং দায়িত্ববোধের চাপ। সেই চাপ থেকেই আমরা তাকে ধরতে চাই।’
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তিনি রাজধানীর মহাখালীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ তার জানাজা ও দাফন ঘিরে র্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছে বলে জানান আশিক বিল্লাহ।
করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করে দেয় র্যাব। সোমবার র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালালে প্রথমে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এদিন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাহেদের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
জব্দ করা গাড়িতে ‘ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড’ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘স্টিকার’ লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের চোখে ধুলো দিতেই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার ব্যবহার করা হতো।
পরেরদিন সন্ধ্যায় হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে তার আগেই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত উত্তরা ও মিরপুরে হাসপাতালটির দুটি শাখা সিলগালা করে দেয় এবং একইদিন রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব।
মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে দেখানো হয়। এখন পর্যন্ত মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মামলার অন্যতম আসামি সকালে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে সাহেদের অন্যতম সহযোগী ও প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
বাবার জানাজায় সাহেদ উপস্থিত হতে পারে এমন সম্ভাবনা থেকে সেখানে কোন নজরদারি বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সে আসবে কিনা জানি না। তবে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি সেখানে আছে। সেই সঙ্গে জনগণ যদি এই ঘটনায় সম্পৃক্ত হয় তাহলে তাকে পাওয়া যাবে।’
সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বৃহস্পতিবার ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। দেশত্যাগের আশঙ্কা থেকেই এই চিঠি দিয়েছে ডিএমপি।