চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃশিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে গড়ায় তাহলে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বা মাঝামাঝির দিকে খোলা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে কবে নাগাদ খোলা হবে তা নিয়ে বিভিন্ন অপ্রচারও চলছে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (২২ জুলাই) রাতে প্রতিবাদও জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে বলা হয়, ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছি না। পরিস্থিতি ভালো হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেবো। দুই মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন,‘দুই মন্ত্রণালয় বৈঠক করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে। এখনও বেশ কয়েকদিন ছুটি রয়েছে। তাছাড়া ঈদের পরও কয়েক দিন পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা বা কবে নাগাদ খোলা যাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। ঈদুল আজহার সময় শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক রেকর্ডিং ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে প্রচার শুরু করে। ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক এই শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে। সংসদ টিভিতে প্রচারিত এই ভিডিও শ্রেণি কার্যক্রম ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে।
এছাড়া শিক্ষা বাতায়নে আপলোড করা হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রমের ভিডিও। পাশাপাশি ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে নতুন একটি ওয়েব পোর্টালও তৈরি হচ্ছে স্থায়ীভাবে। যা করোনা পরবর্তীতেও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পরিচালিত হবে। বেতার বার্তায় প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে সংসদ টেলিভিশন ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে ভিডিও ক্লাস প্রচার এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। কলেজ পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস পরিচালনার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।