আর দেশি-বিদেশি মদের ব্যবসা করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন শাহাজাহান হাওলাদার। নিজের অপরাধবোধ স্বীকার করে নৈতিকতার কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করছেন বলে ঘোষণা দেন।
আজ রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এই অভিনব সংবাদ সম্মেলন করেন মাদকসম্রাট খ্যাত শাহাজাহান হাওলাদার।
শাহাজাহান বলেন, ‘জলদস্যু, সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। কিন্তু আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করছি জনগণের কাছে।’
সংবাদ সম্মেলনে শাহাজাহান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি বৈধভাবে দেশি ও বিদেশি মদ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা ক্লাবে সরবরাহ করেছি। তার বিপরীতে ২০ কোটি টাকার উপরে সরকারকে রাজস্ব দিয়েছি। একইভাবে প্রশাসন ও সমাজের ভিআইপিদের প্রয়োজনমতো বিদেশি মদ সরবরাহ করেছি। তবে কোনোদিন ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা বা হিরোইন বিক্রি করি নাই।’
ওই মাদক ব্যবসায়ী দাবি করেন, সমাজের ভিআইপিরা তাঁর বিদেশি মদ ও বিয়ারের গ্রাহক। এক মন্ত্রীপুত্র খুলনায় এসে অবস্থানকালে পুলিশই তাঁর কাছ থেকে বিদেশি দামি মদ নিয়ে যায়। তিনি নিজেকে মাদক ব্যবসায়ী বলতে নারাজ।
শাহাজাহান হাওলাদার স্বীকার করেন, তিনি কয়েক দফা নিশ্চিত ক্রসফায়ারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তাঁর কথা শুনে পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন।
একজন আইজিপির নাম উল্লেখ করে শাহজাহান বলেন, ‘আমাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়। পরে আইজিপির নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে একাই এসে এ বক্তব্য দেন তিনি।
এ সময় শাহাজাহান হাওলাদার আরো বলেন, ‘খুলনা শহরে আমার কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। আমার নামের কারণে প্রায়ই পুলিশ গিয়ে অযথা হয়রানি করে। এই হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গত ২৪ জুন আইজিপি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
ওই সংবাদ সম্মেলনে ফেনসিডিল ও ইয়াবা থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য শাহাজাহান হাওলাদার বিয়ারকে বৈধ করে দেওয়ার দাবি জানান।