নাফি উজ জামান পিয়াল, যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার ধর্মতলা ছুটিপুর জিসি সড়কের কাজ ছয় মাস হতে গেলেও কাজের তেমন কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। গত মার্চে এই সড়কের কাজ শুরু হওয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । এর মধ্যে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের মৃত্যুর কারণে কাজের ধীরগতি চলে আসে। ফলে রাস্তার বেহাল দশা যেন কাটছে না। উপজেলার ধর্মতলা থেকে ছুটিপুর পর্যন্ত পুরো সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা খন্দের, ফলে মানুষের চলাচলের ভোগান্তির শেষ নেই। কিছু কিছু জায়গায় দায় সারা ভাবে যত্রতত্রভাবে ইট ফেলে রাস্তার গর্ত গুলো ভরাটের চেষ্টা করছে। কিন্তু সেগুলো সমান না করে দেওয়ার ফলে আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে মূল রাস্তায় কাজ করার আগে রাস্তার সকল কালভার্ট পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে এবং বাজারগুলোতে ঢালাই করা হচ্ছে। কিন্তু কালভার্ট গুলো পূনঃনির্মাণের পর সেগুলো রাস্তার থেকে কিছু ফুট উচু হয়ে যাওয়ার যানবহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানায় কালভার্ট তৈরী করে সেখানে সমান না করে দিয়েই চলে যায় শ্রমিকরা , ফলে এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে মাটি দিয়ে কালভার্টে উচু স্থান ভরাট করে । কিন্তু বর্তমানে বৃষ্টিতে সেখানে কাদা হওয়ায় গাড়ি, ইজিবাইক চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের দত্তপাড়া নামক স্থানে কালভার্ট নিমার্ণের জন্য সম্পূর্ণ রাস্তা প্রায় ১ মাস বন্ধ রাখা হয়। ফলে গ্রাম থেকে শহরে আসা হাজারো মানুষের ভোগান্তির শিকার হতে হয় সে সময়। বর্তমানে কালভার্টটির কাজ শেষ হলেও রাস্তার সাথে সংযোগ না রেখে ইটের সলিং বানিয়ে একপাশ থেকে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, কালভার্টের পাশে পানি থাকার কারণে কাজের সাময়িক সমস্যা হয়। এখন তারা কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করার জন্য রাস্তা করে দিয়েছে, ২৮ দিন পর পুরো কালভার্ট চলাচলের উপযুক্ত হয়ে যাবে। দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করে এই চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।