কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার করার কথা বলে জঙ্গিরা সিলেটের শাপলাবাগের ৪০/এ শাহ ভিলার চারতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় বলে জানিয়েছেন বাসার মালিক শাহ মো. শামদ আলী।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাতে সায়েমকে নিয়ে এ ফ্লাটে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এসময় বাসার মালিক শাহ মো. শামদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের শাহ মো. শামদ আলী বলেন, দুই মাস আগে নাইম ও সায়েম তার কাছে এসে বাসা ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে আলাপ করে। ওই সময় তারা এক মাসের ভাড়া অগ্রিম দিয়ে দেয়।
তারা সেখানে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার করতে চান বলে জানিয়েছিলেন। এজন্য চুক্তিনামা তৈরি করে পরে আসার কথা জানালেও তারা যোগাযোগ করেনি। তবে গত মাসের ২ তারিখে আরো এক মাসের ভাড়া পরিশোধ করে যায় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, জঙ্গি সায়েম সিটিটিসির সদস্যদের বলেছে, নিরিবিল শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসেবে এখানে তারা ট্রেনিং সেন্টার করতে চেয়েছিল।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান থানার সেকেন্ড অফিসার সোহেল রানা শাপলাবাগের ওই বাসায় অভিযানের কথা স্বীকার করেন। তবে এর বেশি তিনি কিছু বলতে পারেননি।
এর আগে রাত নয়টার দিকে নব্য জেএমবির সদস্য সানাউল ইসলাম সাদির বাসায় অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নগরের জালালাবাদ এলাকায় ৪৫/১০ লোহানী হাউজে তার বাসা থেকে শক্তিশালী বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকারের ফোন নাম্বারে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার ভোররাতে নব্য জেএমবি’র ৫ জনকে করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম(সিটিটিস) ইউনিট। আটকৃতরা হলেন সিলেট সেক্টর কমান্ডার নাইমুজ্জামান, মির্জা সায়েম, জুয়েল, সানাউল ইসলাম সাদি ও রুবেল।