সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা মঙ্গলবার , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
"মাদক ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাম্প্রতিক খুলনার খালিশপুর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড এবং বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের পেছনে মাদকের ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়" | চ্যানেল খুলনা

“মাদক ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাম্প্রতিক খুলনার খালিশপুর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড এবং বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের পেছনে মাদকের ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়”

উপরোল্লিখিত বিষয়ে একমত হবেননা, এরকম খুব কম মানুষই আছেন বাংলাদেশে। অর্থাৎ আমাদের বেশিরভাগ মানুষই এ বিষয়ে একমত হবেন, এটা নির্মূল করা উচিৎ। কারণ মাদক মানুষের নৈতিকতা, মানবতা, বিবেক, মেধা ও মননকে নষ্ট করে দেয়। মাদক মানুষকে পশুতে পরিণত করে। আজকের কিশোর, তরুণ ও যুবসমাজ নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই, রাহাজানি, ধর্ষণ, খুন, গুম, পর্নোগ্রাফি, ইভটিজিং, অপহরণ ও অপমৃত্যুর সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে অনায়াসে। সর্বনাশা মাদকের কারণে কিশোর, তরুণ ও যুবসমাজ একদিকে যেমন মেধাশূন্য হচ্ছে তেমনি অন্য দিকে তাদের মনুষ্যত্ববোধ এবং সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। বর্তমান সমাজে মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় ও নৈতিকতার অবক্ষয় এমন এক অবস্থায় আজ উপনীত হয়েছে যে, কেউ কাউকে আর সহ্য করতে পারছে না। তাই এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীকে, এক আত্মীয় অন্য আত্মীয়কে, সন্তান বাবা-মাকে, বাবা সন্তানকে, স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, ভাই ভাইকে, বোন ভাইকে, ভাই বোনকে নির্মমভাবে এবং অনায়াসে হত্যা করছে। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন খুন, বিশেষ করে মেজর সিনহা (অবঃ), খালিশপুর হত্যাকান্ড সহ বিভিন্ন ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, রাহাজানি এসবের পিছনেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাদক ও মাদক ব্যবসার সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে আসছে পত্র পত্রিকায়।
ছেলেবেলায় দেখেছি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ দেশীয় ভাবে উৎপাদিত তাড়ি, দেশী মদ বা কেউ কেউ গাজা বা অন্য নেশায় আসক্ত ছিলো। সাধারণত সমাজের সকল সাধারণ মানুষ ঐ নেশাগ্রস্ত মানুষদের সামাজিক ভাবে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতো। কারণ এদের বেশিরভাগই মাতলামি করে বিভিন্ন মারামারি বা অশ্রাব্য গালিগালাজ করতো। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ তাদের এড়িয়ে চলতো এবং কখনো কখনো সংঘটিত হয়ে এদেরকে উত্তম মধ্যম ও দেয়া হতো। দেখা গিয়েছে, ঐ উত্তম মধ্যমের কারণে সে বা নির্দিষ্ট সংখ্যক নেশাগ্রস্থরা বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকতো, অথবা মাতলামি করতো না। এছাড়াও উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের কেউ কেউ বিভিন্ন ক্লাব, বার বা বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলেও সেটা কখনও প্রকাশ্য মাতলামি না ক্ষতিকর কোন প্রভাব বৃহদাকারে কখনোই পড়েনি। আর একটা অংশ কে দেখা যেতো, বিভিন্ন মাজারে বা আখড়ায় নেশা করতে। সেটাও সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিলো খানিকটা। কিন্তু একটা সময় চোরাচালানের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য অবাধে প্রবেশের সুযোগেই উঠতি এবং যুবক বয়সীদের মারাত্মক ভাবে ঐ পথে নিয়ে গেলো। সে সময়ে অনেক লেখালেখি, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা জানিয়েছিলেন অনেকেই, কিন্তু অজানা কারণে, সে সময়ে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং কঠোর পদক্ষেপ না নেবার কারণেই আজ আমরা কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়েছি।
অবাক করার মতো বিষয় হলো, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাদকাসক্তির জন্য একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। সীমান্ত পথে এ দেশ থেকে ভারত ও মিয়ানমারে যাচ্ছে চাল-ডাল, তেল, ইলিশসহ নানা মূল্যবান দ্রব্য। বিনিময়ে আসছে ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ নানা ধরনের মাদক। বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত আট বছরে ইয়াবা এবং অন্যান্য মাদকের ব্যবহার বেড়েছে ৭৭ থেকে ১০০ গুণ। সারাদেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ মাদকদ্রব্য ঢুকছে তার ৯০ শতাংশ আসছে কক্সবাজার, টেকনাফ এবং অন্যান্য সকল পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সীমান্ত সংলগ্ন রুট ব্যবহার করে। মাদকের এই ভয়ংকর বিস্তারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের সম্ভাবনাময় যুবসমাজ, যাদের হাতে রয়েছে বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি। দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে মরণনেশা ইয়াবাসহ নানা মাদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ। তবে বেসরকারি নানা গবেষণা সংস্থার মতে, দেশে ৫৫ লাখেরও বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে। মাদকসেবীদের পাল্লায় পড়ে আজকাল শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের সন্তানরাও বিপথগামী হচ্ছে। তারা ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনের মাধ্যমেই সাধারণত মাদক জগতে পা বাড়ায়। একপর্যায়ে মাদক তাদের গ্রাস করে নেয়।বলাবাহুল্য, ডাকাতি, খুন, ছিনতাইসহ দেশে প্রতিনিয়ত যেসব অপরাধ ঘটে চলছে সেসবের একটি বড় অংশের পেছনেই রয়েছে মাদক। বিভিন্ন তথ্যে জানা যায়, মাদকসেবনকারীদের প্রায় ৮৫ শতাংশের বয়স ১৩ থেকে ২৯ বছর। তাদের একটি বিশাল অংশই মাদকদ্রব্য কেনার জন্য টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুনাগরিক তৈরির পথেও এই মাদক বাধার সৃষ্টি করছে। মাদকাসক্তদের বাঁচাতে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
দেশের অভ্যন্তরে যারা মাদক বিক্রি করছে, তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক দল, দূর্নীতিবাজ প্রশাসনকে প্রচুর অর্থ এবং উপহারের বিনিময়ে ম্যানেজ করে রাখছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা সরকারি দল সংশ্লিষ্ট থাকে এবং অন্যান্য বিরোধী দলের কাউকে কাউকেও ম্যানেজ করে চলে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এরা কোন নীতি ও আদর্শের রাজনৈতিক দল করে না। আর তাই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিৎ এ সমস্ত সুবিধা ভোগী রাজনৈতিক কর্মীদের চিহ্নিত করে বের করে দেয়া এবং এদেরকে কঠোরভাবে দমন করা।
বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার রোধ করতে হলে মাদক পাচারের রুটগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড ও বর্ডারগার্ড কে সম্পৃক্ত করে, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে, কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোন পর্যায়ের ক্ষমতাবান মানুষ জড়িত থাকুক না কেন? তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের একটা বড় ধরনের অভিযান চালানো গেলে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যদি আসলেই আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই? একই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অভিভাবক, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সর্বস্তরে মাদকবিরোধী অবস্থানকে শক্তিশালী করতে হবে। নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। অল্প বয়সী কিংবা তরুণ-তরুণীদের এমন ভয়াবহ মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের লোকজনের সমন্বয়ে এ ব্যাপারে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে না পারলে সুস্থ সমাজ গঠন কঠিন হবে।
শিক্ষার সঙ্গে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সম্পর্ক ওতপ্রোত। একটি সমাজের বা রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা যত উন্নত ও শক্তিশালী, সে সমাজ বা রাষ্ট্রের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ততই নান্দনিক, মানবীয়, মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন, উন্নত ও শক্তিশালী। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে, সমস্যাগুলোর সমাধান করে সময়োপযোগী করে আলোকিত মানুষ গড়ার মতো শিক্ষাব্যবস্থা দরকার। মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো যেতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকারমূলক, প্রতিরোধমূলক ও পুনর্বাসনমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অবশ্য শুধু জেল জরিমানা দিয়ে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হয়নি বলেই আজ মহামারী আকার ধারণ করেছে। গ্রেপ্তারে দুয়েকটি ভুল হতে পারে, বন্দুকযুদ্ধে নয়। মৃত্যুতে নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একটি মৃত্যু মানে একটি পরিবার নিঃস্ব, পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব। নিহতের পরিবারের সদস্য রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি বিরূপ মনোভাব নিয়ে বড় হবে। ভবিষ্যতে অনেক ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে তারা। প্রত্যেক ধর্মই তার স্ব স্ব অনুসারী মানুষের অন্তরে আলোকর্তিকা হিসেবে কাজ করে। আর তাই ধর্মীয় বোধ জাগ্রত করে মনের কালিমা দূর করতে হবে। কেননা ধর্মীয় অনুভূতি মানুষের জীবনে নিয়ন্ত্রক, পথপ্রদর্শক, রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। আজ সময় এসেছে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্বারোপের। কেননা মনে প্রাণে ধর্ম ও নৈতিকতাকে ধারণ করা ব্যক্তির পক্ষে মাদকের মাদকতায় নিমজ্জিত হওয়া বড় কঠিন।
অনেক সময় অধিকাংশ বাবা-মা খবর রাখেন না যে, তার আদরের সন্তান ঘরের বাইরে কী করে? এমনকি অনেক বাবা মা ঘরের ভেতরে সন্তান কী করে সে খবরও জানেন না। বাবা-মায়ের এই অসতর্কতার কারণেও অনেক সময় ছেলে মেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই কমবেশি মাদক সমস্যা বিদ্যমান। বাংলাদেশেও মাদক ও মাদকাসক্তি এক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। দেশের অধিকাংশ মাদকসেবী কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতী। যে যুবসমাজের ওপর দেশের শিক্ষা-দীক্ষা, উন্নতি, অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল, তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ যদি মাদকাসক্তিতে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে সে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ ভয়ঙ্কর অভিশাপ থেকে আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের যুবসমাজের প্রাণশক্তি ও উদ্দীপনা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। তারুণ্যের শক্তি যেমন দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারে, ঠিক তেমনি এর উল্টোটি দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতির কারণও হতে পারে।
তরুণ সমাজের একটি অংশ নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের পাশাপাশি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের আপলোডের মাধ্যমে ভিনদেশী অপসংস্কৃতি,পর্নোগ্রাফিতেও আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর কুফলে দিনকে দিন ইভটিজিং, অপহরণ, ধর্ষণ, খুন, গুম ও অপমৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। নেশার ছোবলে যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন ও বেকারত্ব একটি মারাত্মক অভিশাপ। লেখাপড়া শেষ করেও যারা চাকরি পায় না, তারা সবাই হতাশায় ভোগে এবং অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়। দীর্ঘ সময় এ অবস্থা চলতে থাকলে তারা নিগৃহীত হয় এবং ক্রমে ক্রমে তাদের মনের ভেতরে ক্ষোভ জন্ম নেয়। আন্দোলনের ডাক দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তারা আকৃষ্ট হয় অন্যায়ের দিকে, লিপ্ত হয় নেশায়, মাদকাসক্ত হয়, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ইত্যাদি জঘন্যতম কাজ কর্মে লিপ্ত হয়। মাদকাসক্তির জন্য সমাজের মধ্যে অনিশ্চিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। নেশা ও মাদকাসক্তি বর্তমানে জাতীয় ও সামাজিক সমস্যায় রূপ লাভ করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব সম্মত ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবহার খুবই জরুরী। এমন যেন না হয় ধর্ম ক্লাস আছে, করতে হবে এজন্যই ক্লাশটা করা। অর্থাৎ বর্তমানে ছাত্ররা এই বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। কোনরকমে পাশ করতে পারলেই হলো। এই মানসিকতা পরিহার পূর্বক যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা যাতে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা পায় তজ্জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে নতুনভাবে সাজাতে হবে, যাতে একজন ছাত্র-ছাত্রী ধর্মীয় ক্লাশের মাধ্যমে কল্যাণ ও অকল্যাণ কি পার্থক্য করতে সক্ষম হয়। তারা নিজেরাই নিজেদের বিবেক বুদ্ধিকে যাতে নিজেদের ধর্মীয় জ্ঞানের দ্বারা বিকশিত করতে পারে। ভালো ও অভিজ্ঞ ধর্মীয় শিক্ষক নির্বাচন করতে হবে যাতে তারা ছাত্রদের মাঝে নৈতিক ও ধর্মীয় জ্ঞানের বীজ বপন করতে পারে। যে বীজ আজকে শিক্ষকরা তাদের অন্তরে সঞ্চারিত করবেন, তাহার সুফল ছাত্ররা যেন সারাজীবন প্রত্যক্ষ করে।
তাই আসুন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং দেশকে বাচাতে সকলেই এগিয়ে আসি।
“জীর্ন পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ পিঠে, চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণ পণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল”

লেখকঃশাহ মামুনুর রহমান তুহিন
উপদেষ্টা , চ্যানেল খুলনা ডট টিভি।

https://channelkhulna.tv/

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আরও সংবাদ

ঢাবি শিবির সভাপতিকে নিয়ে আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইনের স্ট্যাটাস

বয়লার মুরগি এখন স্কীকৃত নিম্ন আয়ের মানুষের খাবার

এক ভিডিও দিয়েই ইউটিউবে আজহারীর সাবস্ক্রাইবার ৭ লাখের বেশি

“মাদক ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাম্প্রতিক খুলনার খালিশপুর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড এবং বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের পেছনে মাদকের ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়”

বিরোধী আশা থেকে একটি ফিনিক্স উত্থান

এলাকাভিত্তিক লকডাউন নয়, দেশব্যাপী লকডাউন জরুরি; প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।