চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ, বদলির আদেশ না মেনে ভিন্ন অফিসে চাকরি করা ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এত কিছুর পরও তিনি বহাল তবিয়তে খুলনায় চাকরি করছেন। তদন্তের নির্দেশ আসার ৭ মাস পার হলেও তদন্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আবু হানিফ, সাঁটলিপিকার সাকির হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৮ মে এক আদেশে তাকে বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন, যা হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের ১২ জুলাই খারিজ করে দেন। এরপর মাহবুবুর রহমান রিট পিটিশনের বিরুদ্ধে আপিল করেন। একই মাসের ২৫ জুলাই সেখানে নো অর্ডার আদেশ দেয়া হয়। তবে এই আদেশ গোপন করে তিনি সাতক্ষীরায় প্রায় দেড় বছর, এরপর খুলনা জেলা পরিষদে বর্তমান সময় পর্যন্ত কর্মরত রয়েছেন। ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাকে বগুড়া জেলা পরিষদে বদলির আদেশ দেয়া হলেও তিনি তা উপেক্ষা করে খুলনা জেলা পরিষদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মাহবুবুর রহমান ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসা বাবদ ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি এটা করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন। অভিযুক্ত এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তদন্ত শেষ হলে অবশ্যই প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হোসাইন আলী খন্দকার যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন খুব শিগগির দাখিল করা হবে। সুত্র-দৈনিক সমকাল