চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর কলেজের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নতুন এমপিও হওয়ায় কলেজটির এই তিন শিক্ষক ব্যাংক হিসেবে বকেয়া বেতন-ভাতা বাবদ ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ টাকা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
কলেজটির অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দিনু, গণিতের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক হাবিবুর রহমান ও ইসলাম শিক্ষার প্রভাষক মাওলানা হাফিজুর রহমান তথ্য গোপন করে সরকারি টাকা এভাবে আত্মসাৎ করছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ডাবল বেতন নেয়া তেমন কোনো সমস্যা নয় বলে মনে করছেন অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম। তিনি বলছেন, কলেজটির এমপিও না থাকায় ওই তিন শিক্ষক অন্যত্র চাকরি করতেন। এখন এমপিও হয়ে গেছে। তারা তাদের আগের চাকরি ছেড়ে দেবেন।
জানা যায়, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে যশোর-ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মহেশপুরের যাদবপুর কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতেই কলেজটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন চৌগাছার মাকাপুর-বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও মহেশপুরের জলুলী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা হাফিজুর রহমান। এই তিন শিক্ষক কলেজে যোগাদান করলেও তাদের আগের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা অব্যাহত রাখেন এবং এমপিও অনুযায়ী নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। তবে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে যাদবপুর কলেজটিকে সরকার এমপিওভুক্ত করলেও তারা সেই তালিকায় ওঠেন। এজন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এরিয়ার হিসেবে এক বছরের বেতন-ভাতা পান। ইতোমধ্যে কলেজটি থেকে নিয়মিত বেতন পাওয়ার পাশাপাশি বকেয়া টাকাও তাদের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়েছে। একই সাথে তারা এখনো স্ব স্ব স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে মাকাপুর বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, যাদবপুর কলেজটির শুরুতে আমাদের স্কুলের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। শুনেছি তার এমপিও হয়েছে। বিষয়টি তিনি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে স্কুল থেকে তিনি এখনো পদত্যাগ করেননি। তাই নিয়ম অনুযায়ী তিনি বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষক হাবিবুর রহমান যাদবপুর কলেজে প্রভাষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু তিনি এখনো আমাকে কিছু জানাননি। তাই স্কুল থেকেও তিনি বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (স্কুল) নিভা রানী পাঠক বলেন, অভিযোগটি যাচাই করে যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক (কলেজ) প্রফেসর হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সুত্র-দৈনিক শিক্ষাডটকম