চিতলমারী প্রতিনিধি :: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবজি ও সাদা সোনা চিংড়ির ভা-ার খ্যাত বাগেরহাটের চিতলমারীতে সম্প্রতি বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে চিংড়ি ও কৃষিতে প্রায় ৩৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফলে এ উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুরসহ ৭ ইউনিয়নের কয়েক হাজার চাষির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। মৌসুমের শুরুতে এ এলাকার অধিকাংশ চাষি ধার-কর্য করে চাষাবাদ করে থাকেন। মৌসুম শেষে সবাজি ও মাছ বিক্রি করে তাদের কর্য পরিশোধ করেণ। কিন্তু গত কয়েক দিনের বন্যা ও বৃষ্টিতে তাদের ঘেরের মাছ ভেসে গেছে, নষ্ট হয়েছে ঘেরের পাড়ের সবজি গাছ। এ অবস্থঅয় সরকারি সহায়তা ছাড়া এ লোকসান কোন ভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সবজি ও সৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি জমিতে আবাদকৃত করোলা, শশা ও অন্যান্য সবজি গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ মৎস্য ঘেরে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও সবজি এবং অন্যান্য ফসলে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাষিদের ঘুরে দাঁড়াতে হলে সুদমুক্ত ঋণ ও সরকারি সহায়তা জরুরী প্রয়োজন বলে দাবি করেন এলাকার চাষিরা।
উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত চাষি পরিতোষ ম-ল, বিভাস ম-লসহ অনেক চাষি জানান, গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও জোয়ারে অধিকাংশ মৎস্য ঘোর তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে আবাদকৃত সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যেটি কোন ভাবেই পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এনজিও এবং ব্যাংক থেকে টাকা তুলে চাষাবাদে ব্যয় করেছেন তারা। কিন্তু বন্যা তাদের সর্বশান্ত করে রেখে গেছে বলে হতাশা ব্যক্ত করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানান, বন্যায় চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।