রামপাল প্রতিনিধি :: রামপালের হুড়কার ঝলমলিয়া দীঘির সুপেয় পানি নিরাপদ রাখতে কুচুড়ীপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে নিরাপদ রাখতে এলাকার মানুষ এটি পরিষ্কার করছেন। জানা গেছে, সুপেয় পানি নিরাপদ ও পরিষ্কার রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুরূপভাবে ঝলমলিয়া দূর্গা মন্দির কমিটির আয়োজনে ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে প্রায় শতাধিক জনগণ এই কচুরিপানা পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। ১৬ বিঘা আয়তনের দিঘির সুপেয় পানি রক্ষার্থে এই উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছে হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চারিদিক নোনা পানির বেষ্টনী থাকলেও এই পুকুরের পানি সারাবছরই থাকে সুমিষ্ট। দূর দূরন্ত থেকেও এই সুপেয় মিষ্টি পানি নিতে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ ছুটে আসেন। আবার এই পুকুরের পানি বহন করে তা বিক্রি করে সংসার চালান অনেকই । এক কথায় অপরিহার্য এই পুকুরের সুপেয় মিষ্টি পাানির উপর নির্ভরশীল এখানকার হাজার হাজার পরিবার। পুকুরে স্নান ও হাত-মুখ ধোঁয়া, গবাদিপশু পুকুরে নেমে পানি নষ্ট করা, ময়লা আবর্জনা ফেলা, পুকুরের মাছ আহরণ সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। ঐতিহ্যেবাহী এই দীঘির সংস্কার ও সুপেয় পানি নিরাপদ রাখতে তাই স্থানীয়রা কোনো কার্পণ্যতা করেন না। হুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঐতিহ্যের এই পুকুর সংস্কার ও দেখভাল সর্বদাই করে থাকি। আমাদের নির্ভরতার সুপেয় জলের একমাত্র এই ঝলমলিয়া দিঘীই ভরসা। তাই এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছরই পুকুরের শ্যাওলা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। যে কোন মূল্য আমাদের এই পুকুরের জল নষ্ট না হয় সেজন্য আমরা সবাই সচেতনতা অবলম্বন করি। হুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদারের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সমন্বয়ের কোন অভাব নেই পুকুর পরিষ্কারে তা আবারও প্রমাণ হলো। আমরা একে অপরের পরিপূরক। চেয়ারম্যান নয় একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই পুকুরের সুপেয় মিষ্টি জল নিরাপদ ও পরিষ্কার রাখতে তৎপর রয়েছি। যে কোন ভালো কাজে আমি তাদের সাথে থাকি এবং সবসময়ই পর্যবেক্ষণ ও পুকুরের সার্বিক উন্নয়নে আমার লক্ষ্য রয়েছে। এলাকাবাসীর সমন্বয়ে পুকুর পরিষ্কারে আমি অভিনন্দনসহ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
ঝলমলিয়া দিঘীর শ্যাওলা ও কচুরিপানা পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করেন, শিবানন্দ রায়, এটিইও পুষ্পজিৎ মন্ডল, এ্যাডভোকেট দিব্যেন্দু বোস, সাংবাদিক সুজন মজুমদার, মহানন্দ হালদার, ইউপি সদস্য আব্দুল্লা মোড়ল, শিশির মন্ডল, মতিউর সরদার, রিপন মন্ডল, অক্ষয় বিশ্বাস, স্বপন মন্ডল, বিধান রায়, শ্যামলি মন্ডল, প্রনব সমার্দার, সুকির্তি মন্ডল, আশিষ মন্ডল, প্রফুল্ল মন্ডল, বিভাষ মন্ডল, স্বপন বিশ্বাস, শেখর চৌধুরী, জিতেন মন্ডল, অসিত বিশ্বাস, সুধন্য মন্ডল, সুচন্দনা মজুমদার, গায়েত্রী বিশ্বাস, মিঠুন বাছাড়, বিশ্বজিৎ মন্ডল, নিতা মন্ডল, গোপেশ্বরি বাছাড়, বাসন্তি, কবিতা প্রমূখ।