কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ সাড়ে ৩ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তার জন্য নগত অর্থ, খাবার পানি সংগ্রহের জন্য পানির ট্যাংক, শিক্ষা সামগ্রীসহ হাইজিংক প্যাক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস।
সংস্থাটি দীর্ঘ ৩ মাস ব্যাপী জেজেএস-১ ও জেজেএস-২ নামে দুটি প্রকল্পের আওতায় গত ১০ই আগষ্ট থেকে প্রাথমিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যেই ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে প্রথম প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কয়রা, উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে দাতা সংস্থা জাপান প্লাটফর্ম(শাপনা নীড়) এর সহযোগিতায় ১৮০০ পরিবারে নগত অর্থ, আশ্রয় সামগ্রী এবং হাইজিং প্যাক বিতরন করবে। এছাড়া প্রকল্প -২ দাতা সংস্থা এডুকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন(এডুকো) কয়রা ইউনিয়নে ১২৭৫ পরিবারে খাদ্য সহায়তার জন্য নগত অর্থ ২০০ পরিবারে পানির ট্যাংক ১২৭৫ পরিবারে হাইজিং প্যাক ও ২৫৫০ পরিবারে শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সূত্র জানয়, হিউম্যানিটেরিয়ান এ্যাসিসট্যান্টস ফর দ্যা আম্পান আ্যফেকটেড ট্রিপল লিভিং ইন সাউদার্ন পাট অফ বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় ৫ বছরের শিশু আছে, প্রতিবন্ধী শিশু, স্কুলে যাওয়া, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর এবং করোনায় আক্রান্ত দরিদ্র পরিবার এসব সহায়তার আওতায় আসছে। সে জন্য জেজেএস এর একাধীক মাঠকর্মী ওয়ার্ড মেম্বরদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে বাড়ী বাড়ী তদন্ত শুরু করেছে। এ বিষয় জেজেএস এর স্থানীয় প্রকল্প ম্যানেজার রতন কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, জেজেএস দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে এ উপজেলায় দূর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে
সহাযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন সংস্থাটি। তিনি বলেন, জেজেএস -১ ও ২ নামে দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের যাচাই বাছাই এর কাজ শেষ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সোমবার থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের নগত অর্থ দিতে রকেট চালু করা হবে এবং আগামী এক সম্পাহের মধ্যে অন্যান্য মালমাল বিতরনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।