এম.পলাশ শরীফ :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে ৪৫ টাকার পিয়াজ ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা হতাশ। বাজার নিয়ন্ত্রনে নেই কোন তদারকি। ব্যবসায়ীরা বললেন আমদানি বন্ধ শুল্ক বৃদ্ধি কারনে এ প্রভাব পড়েছে দৈনন্দিন বাজারে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের কাঁচা বাজার, মুদি পট্টি পিয়াজের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। সবার হাতে হাতে দেখা গেছে পিয়াজ।
সোমবার যেখানে ভারতীয় পিয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। রাত ১০টার পর থেকেই সে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। দেশি পিয়াজ এক দিন পূর্বে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা সে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এক শ্রেনীর মজুদারি ব্যবসায়ীরা খুলনা বড় বাজারে পিয়াজের দাম বৃদ্ধি এ অজুহাত দেখিয়ে ক্রেতাদের কাজ থেকে বিভিন্ন দরে বিক্রি করছে খুচরা পিয়াজ। আবার অনেকে বলছে পিয়াজ নেই।
কথা হয় ক্রেতা সন্ন্যাসী গ্রামের জামাল শেখ (৫৫), সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক(৩৫), বাসগারি গ্রামের মেহেরুন নেছা (৩৮), ভাইজোড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম কবির (৪৫), সানকিভাঙ্গা গ্রামের আল-আমিন হাওলাদার(৪২)সহ একাধিক ক্রেতারা বলেন, হঠাৎ করে ২০ থেকে ২৫ টাকা প্রতিকেজি পিয়াজের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। আরো নাকি বাড়বে। তাই বেশি করে পিয়াজ কিনছেন তারা।
মা বাবার দোয়া ফল ভান্ডার পিয়াজ আড়ৎদার আব্বাস উদ্দিন হাওলাদার বলেন, গতকাল তারা পাইকারি দরে ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি করেছে ৪৩/৪৫ টাকা। আজকে বিক্রি করেছে ৫৮/৬০ টাকা। ভোমরা বন্দরে আমদামি বন্ধ। যেখানে ২৫০ ডলার এলসি ছিলো সেখানে ৭৫০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আডৎদাররা পিয়াজ ছারাতে পারছে না। এর প্রভাব বাজারে পড়েছে বলে তারা দাবি করেন। তবে, কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা সঠিকভাবে বলতে পারেন নি তিনি।
এ ব্যাপারে বাজার মনিটারিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাজার দর নিয়ন্ত্রন রাখতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। কোন ভাবেই বাজারে অস্থিতিতিশীল পরিবেশ হতে দেওয়া যাবে না। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে মাইকিং করে সর্তক করা হবে।