খুলনা জেলায় তিন লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে খুলনা স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এই সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপারিচালক মোঃ আব্দুল আলিম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএসএম সিরাজুদ্দোহা, সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ শরাফত হোসাইন প্রমুখ। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিসিয়ান ডাঃ জাকিয়া আলম। সভায় খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ
করেন।
অতিথিরা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আমাদের সকলে মিলে এই কর্মসূচি সফল করতে হবে। সিভিল সার্জন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শতভাগ সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় জানানো হয়, এবছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ৪০ হাজার পাঁচশ ২০ এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৯৮ হাজার তিনশ ৪৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে পক্ষকালব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ঐ দিন গুলোতে সকাল আটটা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এছাড়া ৬ হতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই, ইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লাখ আই, ইউ) খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন এ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নিমূর্লের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা, শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, হাম ও মারাত্বক অপুষ্টি হতে দূরে রেখে একই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার শুধু টিকা কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।