বন্ধ করে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল চালু, আধুনিকীকরণ, অবসরপ্রাপ্ত-কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা এককালীন পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ-এর এক শান্তিপূর্ণ গণমিছিল নগরীর ফেরীঘাট হতে ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস মোড়, শহীদ হাদিস পার্ক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে দিয়ে ডিসি অফিসে পৌঁছায়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের অবর্তমানে উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার বিভাগ)-এর নিকট প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় পাটকল রাষ্ট্রের সম্পত্তি। রাষ্ট্রের এই সম্পত্তির মালিক শ্রমিক তথা এদেশের জনগণ। পাটকল ও পাটশিল্পের ধ্বংসের পিছনে বিজেএমসি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভ্রান্তনীতি, লুটপাট, দুর্নীতিই দায়ী। অথচ দুর্নীতিবাজদের অন্যায়ের কোনো প্রতিকার না করে তার দায় সম্পূর্ণ শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে মিলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ৫ হাজার কোটি টাকার শ্রমিক বিদায় নয়, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী ১২শ কোটি টাকা ব্যয় করে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে, তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি’র কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করতে হবে, ২০১৩ সালের জুলাই হতে অবসর প্রাপ্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণসহ পাওনা এককালীন পরিশোধ করতে হবে. ২০১৯ সালের ৬টি বিল ও ঈদুল আজহার বোনাস অবিলম্বে পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবী বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক এড. কুদরত-ই-খুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাম-লীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এড. আ ফ ম মহসিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, সিপিবি খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মোজাম্মেল হক খান, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য মোস্তফা খালিদ খসরু, আনিসুর রহমান মিঠু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট কেন্দ্র-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক বাচ্চু, নাগরিক পরিষদ নেতা এস এম চন্দন, আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খোকন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, যুব ইউনিয়ন খুলনা জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জী, যুব ইউনিয়ন মহানগর আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাজু, সদস্য সচিব রিয়াসাত আলী রিয়াজ, যুবনেতা গাজী আফজাল হোসেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা আহ্বায়ক কোহিনুর আক্তার কণা, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, খালিশপুর থানা আহ্বায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন লিটু, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, শ্রমিকনেতা মোঃ নূরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান বিল্লাল, মোঃ কামরুজ্জামান, সামশেদ আলম শমশের, জাকির হোসেন চুন্নু, কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, নজরুল ইসলাম মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি সনজিত ম-ল, ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, সম্পাদক অনিক ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন বিএল কলেজ শাখার সভাপতি সোমনাথ দে প্রমুখ।