এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট থেকেঃ খুলনা-মংলা এন-৭ ও বাগেরহাট মহা-সড়কের গোল চত্তরকে ঘিরে বড়বড় গর্ত ও ট্যাম হওয়ার কারনে তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। আর এই বড়বড় গর্ত ও ট্যামের কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। অতিদ্রুত সড়কের তিন পাশের্^ পূনঃ মেরামত করা না হলে গর্ত ও ট্যাম এর কারনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
জানা গেছে, খুলনা-মংলা এন-৭ ও বাগেরহাট মহা-সড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল মোড় হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। খুলনা হতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মংলা ও বাগেরহাট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সময় এই প্রধান মোড়ের উপর দিয়ে যানবাহন চালকরা যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের তিন পাশের্^ এমন অবস্থা এখন মরন ফাদে পরিনত হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশের্^ অর্থাৎ বাগেরহাট সড়কে প্রবেশপথে ১টি ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে যার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের্^ পিচ ও কার্পেটিং উঠে বড়বড় টিলা এবং গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনুরুপ খুলনা ও মংলা সড়কে প্রবেশের মাথায় একই ধরনের গর্ত ও টিলা হয়েছে। এই গর্ত ও টিলা যানবাহন চালক ও পথচারীদের জন্য বিপদ জনক হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের উপর অর্ধশর্তাধিক স্থানে পিচ ও কার্পেটিং উঠে বড়বড় গর্ত ও টিলার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিনের বেলায় তেমন একটা দুর্ঘটনা না ঘটলেও রাত্রিকালিন সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। দিনের বেলায় যদি ১০টি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে রাত্রিকালিন সময়ে ২০টি অধিক দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে গোল চত্তরের চারপাশের্^ পূনঃ সংস্কার করলেও তা স্থায়ীত্ব হচ্ছে না। অতিদ্রুত সড়কের তিন পাশের্^ পূনঃ মেরামত করা না হলে গর্ত ও টিলার কারনে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের র্দুঘটনাসহ প্রানহানির আশংকা রয়েছে। এলজিইডির বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান স্থানীয় ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও অত্র এলাকার টেকসই ও উন্নয়নের রূপকার স্বপন দাশ এর সঙ্গে আলাপকালে এ প্রতিবেদককে জানান খুব শিঘ্রই এ সকল সড়কে ফোর লেনের কাজ শুরু হবে এবং অক্টোবর মাস সংস্কারের মাস হিসেবে বর্তমান সরকার ঘোষনা করেছেন প্রধান সড়ক থেকে শাখা সড়কগুলোর মধ্যে ১ অক্টোবর ফকিরহাটের প্রথম কাজ শুরু হয়েছে শুকদাড়া টু গৌরম্ভা সড়কের। স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সড়ক বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।