নাফি উজ জামান পিয়াল, যশোর প্রতিনিধি: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে। বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ছাড়া দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে, কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। নেতৃবৃন্দ আশা করছেন দুপুরের পর থেকেই কেন্দ্রে ভোটারদের চাপ বাড়তে শুরু করবে। সকাল থেকেই সদর উপজেলার মতো এবার সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে সেভাবে নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি। স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, অন্যান্যবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ায় নারীরা দ্রুত ভোট দিয়ে বাড়িতে যেতেন। দুপুরে পরিবারের কাজকর্ম শেষ করে আসতেন নারী ভোটারদের আরও এক অংশ। কিন্তু, এবার সকাল নয়টা থেকে ভোট গ্রহণ করার কারণে অধিকাংশ নারী ভোটার সকালে না এসে দুপুরের পর কেন্দ্রে আসবেন বলে নেতৃবৃন্দ ধারণা করছেন।
ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকেরা বিচ্ছিন্নভাবে ঘুরে বেড়াঙ্ছেন। যারা কেন্দ্রগুলোতে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের মধ্যেও তেমন কোনো ব্যস্ততা ছিল লা। দু একটি কেন্দ্রের ভেতরে কিছু ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেলেও অধিকাংশই ছিল প্রায় ফাঁকা।শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ আশ্রম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শংকরপূর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুস প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিলা স্কুল, নূতন থয়েরতলাসহ, সেবা সংঘ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এনএম থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএড কলেজসহ বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের কিছু উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা সকাল সাড়ে ১১টায় সেবা সংঘে, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী নূর উন নবী সকাল নয়টায় শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
এছাড়া, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ সাড়ে ১১টার দিকে সেবা সংঘ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএড কলেজ কেন্দ্রে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল সাড়ে ১১টার দিকে সেবা সংঘে, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু দুপুর ১২টায় পুলিশলাইন কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সাড়ে ১১টার দিকে বিএড কলেজ কেন্দ্রে এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সকাল ১১টায় এনএম থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ পর্ব চলছে। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিজ্ছেন। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
বিএনপি প্রার্থী নূর উন নবী বলেছেন, “ভোট মোটামুটি ভালো হচ্ছে। তবে, কিছু কিছু কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক স্থানে আওয়ামী লীগের লোকজন আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে ।’’