নগরীর খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট এর ব্যাবসায়ি ও হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সিনিয়ার সহ সভাপতি মাসুদ বিশ্বাস এর স্ত্রী এ্যারিন সুলতানা শনিবার সকাল ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে । সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার স্বামিকে আসন্ন হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে তার প্রতিদন্দ্রি প্রার্থী বাজারের ব্যাবসায়ি জাহাঙ্গির আলম জিকু , খুলনা সদর থানার এস আই সাইদকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা দিয়ে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে অপহরন মামলা দিয়েছে । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমার স্বামির হকার্স মার্কেটে মাসুদ কসমেটিকস নামে একটি দোকান রয়েছে , এছাড়া হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির বর্তমান কমিটির নির্বাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে । গত ১০ নবেম্ভর বিকাল সাড়ে ৫ টায় আমার স্বামি মাসুদ বিশ^াস কে হকার্স মার্কেট এলাকা থেকে খুলনা থানার এস আই মোঃ সাইদ আটক করে থানায় নিয়ে যায় , থানায় নেওয়ার পর তার ওপর অমানষিক নির্যাতন চালায় , এস আই সাইদ।পরদিন জানতে পারি আমার স্বামিকে বাজারের ব্যাবসায়ি আঃ রহমান অপহরন এর ঘটনায় রহমানের মামা জাহাঙ্গির আলম জিকু আমার স্বামির নামে খুলনা সদর থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেছে। উল্লেখ থাকে যে আমার স্বামির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গির আলম জিকু হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করে হেরে গেছে । কিছু দিন পর আবার হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন উক্ত নির্বচন থেকে আমার স¦ামিকে দুরে রাখতে সদর থানার এস আই সাইদকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা দিয়ে আমার স্বামিকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে মামলায় ফাসিয়ে দেওয়া হয়েছে । তিনি বলেন সদর থানার এস আই সাইদ এর অমানষিক নির্যাতনে আটকের পরদিন যখন আমার স্বামিকে থানা থেকে কোর্টে নেওয়া হলো তখন কোট হাজত খানার দায়িত্বরত পুলিশেরা আমার স্বামিকে এমসি করে নিয়ে আসতে বলেন , পরবর্তিতে খুলনা সদর হাসপাতালে আমার স্বামির এমসি করানো হয় ।শুধু তাই নয় , আমার স্বামিকে মারধোরের ব্যাপারে কোর্টে না বলার জন্য হুমকি প্রদান করে এস আই সাইদ , কাউকে বলা হলে আরো ৪ থেকে ৫ টি মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ্যরিন সুলতানা তার স্বামি ও দোকানের কর্মচারী রাইজুল ইসলাম কাজল কে শুধুমাত্র হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সদর থানার এস আই সাইদ সহ যাহারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান ।