খুলনার বটিয়াঘাটা আমিরপুর এলাকায় সরকারি খাসজমি ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ডের ঘটনা ঘটেছে। সরকারি ওই জমি দখল করে আবাসন প্রকল্প ও আবদ্ধ খালে মাছ চাষ শুরু করেছেন দখলদাররা। জানা যায়, ১৯৯৭-৯৮ সালে জরিপকালে আমিরপুর ইউনিয়নের করের ডোন মৌজায় ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাবেক ইউপি সদস্য জবিউল্লাহ শেখ সরকারি ৭ দশমিক ৬১ একর জমি ও খাল নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে উপজেলার রাজবাঁধ ও সুরখালি মৌজায়ও।
বিষয়টি জানাজানি হলে টনক নড়ে ভূমি কর্মকর্তাদের।
তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ‘রেজিস্ট্রি বইয়ে দাগ-খতিয়ানসহ অবৈধভাবে রেকর্ডের এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
কোনোভাবে ওই জমির খাজনা গ্রহণ বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ ছাড়া রেকর্ড পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারি জমি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ’
জানা যায়, জবিউল্লাহ শেখের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জগন্নাথ ঘোষ জানান, তদন্তে সরকারি জমি ও খালের জায়গা জবিউল্লাহ শেখসহ আরও কয়েকজনের নামে পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।