এম.পলাশ শরীফ:: হাফিজুল খান (২৫)। মানসিক ভারসাম্যহীন এক য্বুক। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ বন্দী জীবন যাপন করছে। শিকলে বাঁধা জীবন নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে তার জীবন। অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ । মানবিক সাহায্যের জন্য বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মা ও বড় বোন। সাড়া না পেয়ে তারা দিশেহারা।
হাফিজুল বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পৌর সদরের বারইখালী ১নং ওয়ার্ডের হাসেম খানের ছেলে। পেশায় দিনমজুর। মা-বোন বাড়ি বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। হাফিজুলকে পাগল হিসেবে সবাই জানে।
এ কারনে ভয়ে এড়িয়ে চলে অনেকে। গরম ও শীতের বালাই নেই। সারা বছরই সম্পূর্ণ বস্ত্রহীন থাকে। খাওয়া-দাওয়ার কোন চিন্তা নেই। খাবার দিলে হয়তবা খায়। আবার ৩/৪ দির না খেয়েও থাকে। থাকা খাওয়া প্রাকৃতিক কাজ সবই এক ঘরে। দুগর্ন্ধ চারিদিকে। ভয়ে কেউ কাছে যায়না। বহু ডাক্তার কবিরাজ ওঝা দেখানো হয়েছে। তাবিজ ঝাড় ফুঁক ও বাদ পড়েনি। কিন্তু কোনটাতেই কোন পরিবর্তন হয়নি। ২০১৫ সালের দিকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে ওকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ৮ মাস পর্যন্ত সে অনেকটা ভালো ছিলো। এসময়ে বিভিন্ন লোকজনের পরামর্শে বিবাহ করানো হয়েছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই আগের মত মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আবারো বন্দি জীবন। ওর আরো এক ছোট ভাই সাইফুল খান (২৩) মানসিক ভাসাম্যহীন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাইফুলকে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে। ওদের চিকিৎসায় জন্য পৈত্রিক সহায় সম্পত্তি সহ সব হারিয়েছে পরিবার। ওদের মা ও বোন শাহিনুর জানান, এখন তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর পারছিনা। এভাবে ওদের কষ্ট সহ্য করা যায়না।
এ অসহায় পরিবারটি ওদের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ করছে। সাহায্য কিংবা সহযোগীতার জন্য ০১৭০৪৭৬০৮৫৪ (বিকাশ),০১৮৮৯৬০৩২৭৬ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।