কয়রা প্রতিনিধিঃ চলতি রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্ষয়ক্ষতি পুষিতে নিতে এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় বিএআরআই এর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ- প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরনের মাধ্যমে কৃষির উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার ৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ, আলু ও রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনা এর আয়োজেন এসব বীজ সার বিতরণ করা হয়।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনা ড. হারুনর রশিদ।
এমএলটি সাইট কযরার বৈজ্ঞানিক সহকারি জাহিদ হাসানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক প্রভাষক শাহাবাজ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ও কয়রা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম হারুন অর রশদি, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সদর উদ্দীন আহম্মেদ, ইউপি সদস্য আঃ অহিদ মোড়ল, আকবর ঢালী, মহিলা সদস্য নুরজাহান বেগম, আনোয়ার হোসেন সহ মহারাজপুর ইউনিয়নের ৫ শতাধীক কৃষক কৃষাণী। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যেন খালী পড়ে না থাকে সেই লক্ষে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগ। কৃষি বান্ধব সরকার খাদ্য মোকাবেলায় বড় চ্যালেঞ্চ নিয়ে সরকার করোনাকালীন যেন খাদ্য ঘাটতি না ঘটে তাই বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি কৃষকদের উদ্যেশে আরও বলেন, রবি মৌসুমে কৃষকদের সর্বাত্তক প্রচেষ্টায় কয়রায় বিভিন্ন মাঠে ফসল ফলবে। সোনালী ধান , শীতকালীন সবজি, হলুদ ও সবুজের মিশ্রনে সরিষার ক্ষেত সহ অন্য ফসলে কয়রার মাঠ সোনালী ফসলে সবুজে সমারোহে ভরপুর যেন থাকে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ড. হারুনর রশিদ ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের হাতে বোরো ধানের বীজ ও আলু সহ বিভন্ন ফসলের বীজ ও সার তুলে দেন।