বর্তমান সরকারের ক্ষমতা আমলে সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়নের ছোয়ায় বদলে গেছে। সাতক্ষীরার শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, বিনোদন সহ সব ক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সুন্দর উন্নত মডেল সাতক্ষীরা তৈরীর লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা-০২ আসনে নৌকার মনোনয়ন পান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।তিনি সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সরকারি কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভিপি এবং ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নৌ-কমান্ডো ০০০১ ছিলেন। তিনি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
এরপর অবহেলিত দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত সাতক্ষীরার সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ শুরু করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামাত এই আসনটি দখল করে রেখেছিল। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকে আব্দুল জব্বার এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া পুরন হয়নি। উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছিল সাতক্ষীরা। অবহেলিত এই জনপদে ছিলনা কোন উন্নত রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার বহুতল ভবন, ব্রিজ-কালভাট, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিলনা কোন বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা। এমপি রবি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকায় তার প্রচেষ্টায় অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত চাওয়া পাওয়া পূরণে সফল হয়েছেন। পরবর্তীতে একাদশ নির্বাচন ২০১৮ সালে এমপি রবিকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেন। তিনি পুনঃরায় নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সদর উপজেলার সুকদেবপুর, যুগিপোতা, ভাটপাড়াসহ যে সব এলাকায় রাস্তা, বিদ্যুৎ ও ব্রিজের ব্যবস্থা করেন এমপি রবি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার গ্রাম হবে শহর। উন্নয়নের জোয়ারে আজ গ্রাম এলাকা শহরের রুপ নিতে চলেছে। আজ শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত সাতক্ষীরা সদর-০২ আসন। সার্বিক উন্নয়নের আধুনিকতা বলতে যা বোঝায় সাতক্ষীরা সদরে সবকিছুই এমপি রবির ছোয়ায় দৃশ্যমান। এমপি রবির কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ রোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও জনসচেতনতায় মাইকিং এর মাধ্যমে দ্রুত করোনার সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার সব চেয়ে কম সাতক্ষীরায়।
জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি যশোরের শার্শার নাভারন থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল। সাতক্ষীরাবাসীর স্বার্থে এমপি রবি মহান জাতীয় সংসদে কয়েকবার জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য রেল লাইন নির্মাণের দাবী জানান। এরপরও থেমে থাকেনি এমপি রবি। তিনি বহুবার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের চাওয়া পাওয়া বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে। ১৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে যশোর-সাতক্ষীরা রেলপথ। নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯৮ দশমিক ৪২ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের অর্থায়ণের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদুত এর মাধ্যমে জার্মান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি সময় থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিকভাবে আরো বেশি শক্তিশালী হবে সাতক্ষীরা। এছাড়াও এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শর্য্যায় উন্নীতকরণের অনুমোদন লাভ করেছে। সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভিসা আবেদন সেন্টার, নতুন পাসপোর্ট ভবন, সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক নির্মান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার উন্নয়নে জার্মান সরকারের কেএফ ডব্লু প্রকল্প চুক্তি হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার চেহারায় পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী ও খাল খননে এমপি রবির প্রচেষ্টায় একনেকের বিশেষ সভায় ৪৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও এমপি রবি সাতক্ষীরা সদর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়, ইকোনোমিক জোন স্থাপন করে শিল্প কলকারখানা তৈরী, নতুন বিদ্যুৎ প্লাান, বিনেরপোতা হয়ে আশাশুনি নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণ, সুন্দরবন টে´টাইল মিলসকে আধুনিকায়ন করে পূণরায় চালু, ভোমরা স্থলবন্দরকে আরো গতিশীল করাসহ বন্দরকে আধুনিকায়ন ও আমদানী-রপ্তানী মুখি বন্দর করতে কাজ করে যাচ্ছেন। সুন্দরবন এলাকায় ট্যুরিজম তৈরী করাসহ আধুনিক ও উন্নত সাতক্ষীরা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এমপি রবি।
এমপি রবি অসহায় মানুষের সেবা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দলীয় এবং সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সারাদিন পার করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ড এবং গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাজনীতির নিরলস দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এমপি রবি।