পাইকগাছার চাঁদখালীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে কাঁঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। কারখানার কালো ধোয়ায় একদিকে বিঘ্নিত হচ্ছে সড়কে যাতায়াত, অপরদিকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। এ ধরণের পরিবেশ বিধ্বংসী কয়লা কারখানার হাত থেকে পরিত্রাণে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
প্রাপ্ত সূত্রমতে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চাঁদখালী-কয়রা সড়কের চাঁদখালী বাজার থেকে কয়রা অভিমুখে সড়কের পশ্চিম পাশে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০টি কাঁঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা। এক সময় এলাকায় অসংখ্য কারখানা গড়ে ওঠে এবং গড়ে ওঠা এসব কারখানায় পোড়ানো হতো বেশিরভাগ সুন্দরবনের কাঠ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কারখানা মালিকদের বিপুল পরিমাণ টাকা জরিমানা ও কারখানার চুলা ধ্বংস করে দেয়।
তারপর দীর্ঘদিন প্রশাসনের তদারকি না থাকায় আবারও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা গুলো সচল করা হয়েছে। তবে এখন কারখানাগুলোতে বেশিরভাগ পোড়ানো হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির কাঁঠ। প্রতিদিন এক একটা কারখানায় পোড়ানো হচ্ছে শত শত মন জ্বালানি কাঠ। ফলে একদিকে এলাকার গাছ-পালা উজাড় হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার গাছ-পালা উজাড় হতে বেশি দিন লাগবে না বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে। অপরদিকে প্রধান সড়কের পাশ দিয়েই কারখানাগুলো গড়ে ওঠায় কারখানার কালো ধোয়ায় সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ধোয়ার কারণে এলাকাবাসী আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। উল্লেখ্য, কাঁঠ পুড়িয়ে তৈরি করা এসব কয়লা দেশের ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সচেতন এলাকাবাসী পরিবেশ বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পেতে কয়লা কারখানাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান,গত ২৬ নভেম্বর আমরা ভ্রাম্মমান আদালত বসিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানায় জরিমানা করেছি এবং ৩০ নভেম্বরেরর মধ্যে সকল কয়লা তৈরির কারখানা বন্ধ করার জন্য বলেছি। যদি এর মধ্যে এ কারখানা গুলো বন্ধ না হয় তাহলে আমরা পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।