বঙ্গবন্ধু সমবায়ভিত্তিক সমাজ ও দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। একারণে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সমবায়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। সমবায় পদ্ধতির বিকাশ হলে সহজেই আমরা স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে বিশে^ প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে খুলনা আঞ্চলিক সমবায় ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশিক্ষণার্থী সমবায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসকল কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সমবায় ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। সরকার-ব্যবস্থা ধনিক শ্রেণির ভাবধারার মানুষের হাতে যাওয়ায় সরকারি কল-কারখানা ব্যক্তিখাতে ছেড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলে। তিনি আরও বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ছড়ানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তারই কন্যা শেখ হাসিনা সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করছেন। সমবায়ী উৎপাদকদের বাজারজাত করণের দুর্বলতার কারণে উৎপাদক ও ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মুনাফা করে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। সমবায়ভিত্তিক পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থা এখানে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসান, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম-নিবন্ধক মোঃ মিজানুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা আঞ্চলিক সমবায় ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাঃ জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার ল্যাব ও চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডে পাঁচ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সমবায় ব্যাংকের নয় তলা ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসান,খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, সমবায় ব্যাংক খুলনার সাবেক সভাপতি বেগম ফেরদৌসী আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।