যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে। শুক্রবার এই অনুমোদন দেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে দিন কয়েকের মধ্যেই লাখ লাখ আমেরিকান, যারা এই ভাইরাসের আক্রমনে কাহিল অবস্থায় রয়েছে তাদের শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এই অনুমোদন করোনা মহামারির মধ্যে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে এই ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২৯০,০০০ জনেরও বেশি মানুষের। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোভিডের বিরুদ্ধে ফাইজারের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন অনুমোদনকারী দেশগুলোর ক্লাবে ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে নাম লেখালো।
এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, মেক্সিকো, সৌদি আরব ও বাহরাইন তাদের দেশে ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়ে তার প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। মেক্সিকোও শুক্রবারই এতে অনুমোদন দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নও শিগগিরই এই ভ্যাকসিন অনুমোদন দিতে যাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।
যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডার পর এবার ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে মেক্সিকো। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) এই কথা নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হুগো লোপেজ।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কফেপ্রিজের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জরুরী ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। তারপর বাহরাইন ও কানাডাও জরুরী ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈঠকে থাকা ২৪ সদস্যই কোনরকম দ্বিধা ছাড়া এই ভ্যাকসিন অনুমোদনে সম্মত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ফাইজারের সাথে চুক্তিও করেছে মেক্সিকো। প্রথম দফায় তারা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিবে। যার প্রথম চালান আসবে ডিসেম্বরেই৷
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটিতে করোনাক্রান্ত হয় ১২ হাজার ২৫৩ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ জন৷ তবে অশনি সংকেত হলো আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার দেশটিতে বেশি। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৯ জন।