বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছায় ১৮জন আমচাষীদের ২০বিঘা জমির আমগাছ কেটে কোটি টাকার ক্ষতি করলো সঙ্গবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। আমগাছগুলি ২-৮ বছর যাবত পরিচর্যা করা হচ্ছে। বুধবার রাতে উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের খরুষা গ্রামে হিংসাত্বক এমন ঘটণা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা আমচাষী দিপু আহম্মেদ। এ ব্যাপারে খরুষা গ্রামের মৃত আমির হোসেন মোড়লের ছেলে দিপু আহম্মেদ ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষীদের পক্ষে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
দিপু আহম্মেদ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর চাষীরা ধান, পাট চাষ করে কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় আম চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। ফলে খরুষা গ্রামের মাঠে আমচাষীদের অসংখ্য আমবাগান গড়ে উঠেছে এবং আমচাষীরা আমচাষ করে অনেক লাভবান। বৃহস্পতিবার ভোরে অন্য চাষীরা দেখতে পেলো খরুষা গ্রামের আমচাষী দিপু আহম্মেদ (৩বিঘা), আতাউর রহমান (১৭ কাঠা), ফজলুর রহমান (২৫ কাঠা), আব্দুল মালেক (১৫ কাঠা), আব্দুল খালেক (১৫কাঠা), বাবর আলী (৬ কাঠা), মশিয়ার (১৫ কাঠা), তাহাজ্জত হোসেন (১৭ কাঠা), তোফাজ্জেল হোসেন (১৭ কাঠা), আলতাফ হোসেন (১৭ কাঠা), শাহাজান (২বিঘা ১০ কাঠা), আব্দুল মান্নান (১৫ কাঠা), মুনছুর আলী (১০ কাঠা), আতিয়ার (১ বিঘা১০ কাঠা), আব্দুল করিম (১ বিঘা), মিজাক আলী (৬ কাঠা) এবং আরও অনেক আমচাষীদের আমগাছ কে বা কাহারা গোড়া থেকে কেটে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছে যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি টাকা। আমচাষীরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
আমচাষী শাহাজান জানান, আমার আড়াই বিঘা জমির আম গাছ দুর্বৃত্তরা কেটে আমার আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি করলো। মানসিক কষ্টে আমি আর আমার জমিতে যেতে পারছিনা। আমচাষী আতাউর রহমান জানান, আমি অনেক আশা নিয়ে আমচাষ শুরু করেছি। দুর্বৃত্তরা আমাদের এইভাবে ক্ষতি করলে আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মারা যাব।
আমচাষীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শিওরদাহ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা আমচাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কোন ক্লু পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্য উৎঘাটনের সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।