ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনের অবসানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে হবে, নইলে এ দেশ থেকে দুর্দিন কখনও যাবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধী দলহীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তাই সরকার তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারি যন্ত্রকে লাগামহীনভাবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীনতা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণেই নির্বাচন নিয়ে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বিনাভোটে স্থানীয় ক্ষমতাও আয়ত্ত নিতে বিএনপিসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন-নিপীড়ন।
‘জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আধিপত্য বজায় রাখতে বিরোধী প্রার্থীদের রক্তে হাত রঞ্জিত করছে’, বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সরকার ভোট নিয়ে হুমকি দিচ্ছে ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে; যাতে ভোটাররা নির্বাচনী পদ্ধতি ভুলে যায়। সেজন্য লাকসামে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে সশস্ত্র তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।
‘লাকসাম পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী বেলাল রহমান মজুমদার, কাউন্সিলর প্রার্থী ও পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মানিক, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল মিয়া, বিএনপি নেতা শাহ আলমের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হয়, সুষ্ঠু ভোট তো দূরের কথা, বিএনপিসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে বিনাভোটে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।’
বিবৃতিতে অবিলম্বে লাকসামে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।