অনলাইন ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় সবশেষ ৫ জন বাংলাদেশিদের মৃত্যূর খবর নিশ্চিত করেছেন নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান। রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে সুফিউর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুফিউর রহমান টেলিফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত অর্ধশত ব্যক্তির মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।তিনি বলেন, নিহতদের স্বজনদের নিউজিল্যান্ডে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ক্রাইস্টচার্চের এই হামলায় বাংলাদেশি যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন— সিলেটের গোলাপগঞ্জের হুসনে আরা পারভীন (৪০), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. মো. আব্দুস সামাদ, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের হুরমাহিশা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক সেলিম ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ওমর ফারুক (৩৫)। প্রবাসী বাংলাদেশি আরও একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক বার্তায় জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে স্বজনদের নিউজিল্যান্ড নিয়ে যাবে সরকার। বাংলাদেশি যারা নিহত হয়েছেন, এরই মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, সেসব পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে সরকারি খরচে নিউজিল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কের মসজিদ আল নূর ও শহরতলী লিনউডের মসজিদে হামলা চালায় বন্দুকধারী এক যুবক। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮ জন। উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গ ভাবাদর্শের অস্ট্রেলীয় যুবক ব্রেন্টন, ইউরোপের অভিবাসী মুসলিমদের ওপর ঘৃণার বশবর্তী হয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
এদিন দেশটির পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, হামলার অভিযোগে আটক অন্যরা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নাও হতে পারে। তবে আমি কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করবো না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মরদেহগুলো শনাক্ত করা হবে। সোমবার হামলাকারী যুবক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে (২৮) আদালতে নেওয়া হবে।