বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের পাশে থেকে আমাদেরকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। কারও সন্তানের কোনো নিরাপত্তা নেই। যে কোনো সময় যে কেউ গুম হতে পারে। যে কোনো সময় যে কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, একটা ছেলে মিছিল করলে তাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করবে। কেউ কিছুই বলবে না। সীমান্তে আমাদের লোক মারা যায়। এই নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর গার্ডেন রোড এলাকায় ২৬নং ওয়ার্ডে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বিরের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
দেশে একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়- অন্যদিকে রাজনৈতিক মহামারী চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কথা বলা যায় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায় না। কথা বললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে দিবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ চলতে পারে না।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃসময় পার করছি আমরা। কথা বলা যায় না। কোনো সমাবেশ-মিটিং করা যায় না। একদিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, আর না হলে হামলা। এর মধ্যেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। তারপরেও কিন্তু নেতাকর্মীরা বসে নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। অসহায় মানুষের পাশে আছে। নিরন্ন এবং আর্তমানবতার সেবায় তারা নিয়োজিত আছেন।
রিজভী বলেন, করোনাভাইরাসে গোটা জাতি থরথর করে কাঁপছে। হাসপাতালে সিট নাই, অক্সিজেন নাই। আইসিইউতে সিট নাই। মফস্বলগুলোতে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা। কারও যদি করোনা সন্দেহ হয়, সেটি টেস্ট করে রেজাল্ট বের করতে সময় লাগে ৪৮ ঘণ্টা। এর মধ্যে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রোগীর জন্য যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দরকার সেটার কোনো ব্যবস্থা নাই। আজকে ঢাকা শহরের কোনো হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, স্বেচ্ছাসেবক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী ও কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমুখ।