আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘাতে নিহত আর্মেনিয়ার সেনাদের প্রতি সম্মান জানাতে শনিবার শোকযাত্রায় অংশ নেন আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। এ সময় বিক্ষুব্ধরা তাকে উদ্দেশ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা প্রধানমন্ত্রীকে ছাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন।
এদিকে আজারবাইজানের সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে নিহত আর্মেনীয় সেনাদের প্রতি শোক জানাতে কয়েক হাজার মানুষ রাজধানী ইয়েরেভানে জড়ো হন। তারা নিহত সেনাদের স্মরণে শোকযাত্রা করেন। এ শোকযাত্রা থেকেই তারা আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করেন।
দেশটির জনগণের দাবি, আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে আর্মেনিয়ার পরাজয় হয়েছে। এ চুক্তির ফলে আজারবাইজানের ভূখণ্ডগতভাবে জয় হয়েছে।
আর্মেনিয়ার বিরোধী দল দাবি করছে, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় নাগোরনো কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তির ফলে পাশিনিয়ানের অদক্ষতাই দায়ী। সংঘাত ও সেনাসদস্যদের মৃত্যুর জন্য তারা আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
শনিবার তিন দিনের শোকযাত্রার প্রথমদিন নেতৃত্ব দেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ পদযাত্রার আগে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, সমগ্রজাতি একটি দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে গেছে এবং এটি অতিবাহিত করছে। কখনো কখনো মনে হয় আমাদের সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে এবং আমাদের আশা ধ্বংস হয়ে গেছে।
শোকযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণের সময় বিরোধীরা অসন্তুষ্ট হন। তাকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভকারী বলতে থাকেন, নিকোল তুমি বিশ্বাসঘাতক। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পাশিনিয়ানকে যেতে সাহায্য করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ঘিরে রাখেন। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ডিম থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচাতে ছাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
দিনের শেষে প্রায় ২০ হাজার বিরোধীদলের সমর্থক সংঘাতে নিহতদের সম্মান জানাতে ইয়েরেভেনের গির্জায় জড়ো হন।
সম্প্রতি মস্কোর মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ফলে নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয়-বহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয়েছে আর্মেনিয়াকে। এমনকি ১৯৯০-পরবর্তী সময়ে তারা যে ছয় জেলা অধিকার করেছিল, সেগুলোও আজারবাইজানকে দিয়ে দিতে হয়েছে।