বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, এই সরকারের হাতে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির মৃত্যু হয়েছে। তারা শুধু অবৈধভাবে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রভুদের তোষামোদিতেই ব্যস্ত।
রাজধানীতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রী নন, তারা অন্য কোনো দেশের প্রতিনিধি। জনগণের জানমাল ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিনিময়ে নিজেদের ক্ষমতাকে আগলে রাখাকেই বড় কাজ বলে মনে করছে সরকার।’
সীমান্ত হত্যার দায় বাংলাদেশ সরকার এড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন রিজভী। তিনি বলেছেন, গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন ভার্চুয়াল আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন, তখন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক জাহিদুলের লাশ পড়েছিল কাঁটাতারের নিচে।
রিজভী বলেন, ‘দুনিয়ায় এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যার নজির নেই। পৃথিবীর কোনো আইনেই এর সমর্থন নেই। সীমান্ত হত্যা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ- যারা এসব ঘটাচ্ছে, তারা রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।’
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।