।। খবর বিজ্ঞপ্তি।। কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পৃথিবীর সবচে’ রক্তাক্ত ভূমিতে পরিনত হয়েছে। সরকারে পদলেহী মানুসিকতার কারনে দক্ষিন এশিয়ার ভয়ঙ্কর বধ্যভূমিতে রুপান্তিত হয়েছে। পরিসংখ্যনে দেখা গেছে সরকারের তিন মেয়াদে ১২ বছরে ৫৫০ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বিএসএফ। চলতি বছরে সীমান্তে খুন হয়েছে ৪৫জন বাংলাদেশী। অথচ সরকার নির্বিকার, কোন বাংলাদেশী হত্যাকান্ডের স্বীকার হলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কেবলমাত্র পতাকা বৈঠক করে ভারতীয়দের অনুগ্রহে মৃতব্যক্তির লাশ গ্রহন ছাড়া আর কোন কার্যকর ভূমিকা রাখার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে ভারত এধরণের ঘৃন্য অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসুচিতে তিনি এ কথা বলেন। সকল দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন ও কালো পোশাক পরিধান করে অবস্থান কর্মসুচির মাধ্যমে এই ববোর্রচিত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সামিটে সীমান্ত হত্যাকান্ড নিয়ে সুস্পষ্ট সমাধান ছিলো না। কেবলমাত্র আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেসব্রিফিং শুনে পর্যাবেক্ষকমহলে চরম দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে যে, তিনি বাংলাদেশ না ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন? বাংলাদেশী নাগরিকদের অপরাধী করে ভারতীয় বিএসএফ-এর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। বিস্ময়কর তথ্য দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশী নাগরিকরা সীমান্তে অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে প্রবেশ করেন এবং বোমা মারেন বলেই বিএসএফ গুলি করে।
কিছুদিন পুর্বে আর একজন মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও এহেন অবমাননাকর এবং ভারতীয়দের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। মন্ত্রীদের এহেন কথাবর্তা এবং সরকারের ভারতমূখি তৎপরতার কারনে সীমান্তে দিন দিন হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসিনা সরকারের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। বক্তারা আরো বলেন, সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলন্ত কিশোরী ফেলানীর লাশ আজও মানুষের হৃদয়কে বিচলিত করে। অথচ এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার পাওয়া যায়নি। মেরুদন্ডহীন সরকারের পক্ষে উচ্চকন্ঠে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়নি। ‘বর্তমান সরকার ভারতকে যা দিয়েছে তা ভারত সারাজীবন মনে রাখবে’ এমন বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ন্যায্য হিস্যার ক্ষেত্রে কোন আপোস নয়। অসম এবং একতরফা বন্ধুত্ব আর নয়। মাথা উচু করে যদি ভুমিকা রাখতে না পারেন তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভোটে দেশপ্রেমিক সরকার গঠন এখন সময়ের দাবী।
নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় এবং কিমিয়া শাহাদাতের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্যে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, অধ্যা. ডা. গাজী আব্দুল হক. শেখ মুশাররফ হোসেন, এড. বজলুর রহমান, অধ্যক্ষ. তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, মুজিবুর রহমান, চৌ. নাজমুল হুদা সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, আবু সাঈদ শেখ। উপস্থিত ছিলেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, স ম আব্দুর রহমান, রেহেনা ঈসা, শেখ আব্দুর রশিদ, এড. মাসুম রশিদ, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখি, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, শেখ সাদী, এড. গোলাম মাওলা, মোহাম্মাদ শাহজাহান, নিজাম উর রহমান লালু, জালু মিয়া, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল কবির মিল্টন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, আনিসুর রহমান আনিছ, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, ডা. আকরামুজ্জামান, কামরান আহসান, ম শ আলম, নাজির উদ্দীন নান্নু, বদরুল আনাম খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, আশরাফ হোসেন, কাজী আব্দুল লতিফ, ইসহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, মেজবাহ উদ্দীন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দীন টারজান, জসিম উদ্দীন লাবু,ওহেদুর রহমান দিপু, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসলাম হোসেন, নাসির খান, আ: রহমান, বাবু মোড়ল, কাজী মাহমুদ আলী, মোস্তফা কামাল, সাইমুল ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মাদ আলী, তৌহিদুর রহমান খোকন, ফরিদ উদ্দীন মালিক, সিদ্দিকুর রহমান, দ্বীন মোহাম্মাদ, সামসুল বারী পান্না, তারভীরুল আজম রুম্মন, আরজু খান, হুমায়ুন কবির, লিটু পাটোয়ারি, এড. সত্য গোপাল ঘোষ, মাও. আব্দুল গফ্ফার, এড. রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, শফিকুল ইসলাম বাদল, কে এম মাহবুব আলম, ইকবাল হোসেন, জাকারিয়া লিটন, ডা. ফারুক হোসেন, তরিকুল আলম তুষার, এনামুল হক সজল, মোল্লা আকরাম হোসেন, নুরুল ইসলাম লিটন, আলমগীন হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, বাসেত মোল্লা, ওহেদুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম, বাকার মুন্সি, মনিরুজ্জামান লেলিন, জাবির আলী, হেমায়েত হোসেন, জাহিদুর রহমান শোভন, রাজু মোল্লা, আনজিরা খাতুন, এড. কামরুন্নাহার হেনা, মুন্নি জামান, সাখী, কাকলী প্রমূখ।