যশোরের ঝিকরগাছায় এক পল্লী চিকিৎসক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার শিওরদাহ গ্রামের মৃত হারুণ অর রশিদের ছেলে পল্লী চিকিৎসক (ভেটনারি) ইমামুল হোসেনের সাথে তার প্রতিবেশী ইব্রাহিম হোসেনের পরিবারের জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জের ধরে গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা ইমামুল হোসেনের বাড়িতে হামলা করে। ইমামুল হোসেন ঘরের বাইরের দরজা দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও বাইরে অবস্থান করা তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪০) কে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং তার নিকট থেকে স্বর্ণের চেইন, রুলি, কানের দুল, ঘরের ভেতর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইমামুল হোসেন বাদি হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৫।
ইমামুল অভিযোগ করছেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামীপক্ষ মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নেয়ায় আসামীপক্ষের ইব্রাহিম হোসেন (৫০) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। তাকে ছাড়াও তা তার কলেজ পড়–য়া ছেলে রাজিব হোসেন ও বড় ভাই শাহাজান আলীকেও ঐ মামলায় আসামী করা হয়েছে। যার নং- সিআর-৪৮১/২০, তারিখ-২৩/১২/২০২০ ইং।
ইমামুল হোসেন জানান, আমাদের নামে সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রদান করা হয়েছে। হামলাকারিরা আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছে, আমি সেই ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। সেই মামলা তুলে নেয়ার জন্যও আমার প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য ইব্রাহিম হোসেনের মোবাইল ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।