বিএনপি নিজেরা অন্ধকারের মধ্যে আছে, চোখ থাকতেও তারা চোখে বন্ধ করে আছেন। নতুন বছরে (২০২১) বিএনপি চোখ খুলবে বলে আশা করছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ২০২০ সালের সমাপ্তি দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ও
সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপিকে নিয়ে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
নতুন বছরে বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন বাতিলের কথা বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নিজেরা সব সময় অন্ধকারের মধ্যেই আছে এজন্য চারদিকে অন্ধকার দেখছে। বাইরে যে আলো আছে সে আলোতে তারা কখনও আসতে চেষ্টা করছে না। নির্বাচন বাতিলের যে দাবি ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে প্রতি বছর বলে আসছে। প্রতিবছর শেষে তারা বলছে আগামী বছর তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। অবশ্য বিএনপি যে নেতৃত্ব সেই নেতৃত্বের মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি যেতে পারেনি বরং জনগণ থেকে ক্রমাগত দূরে সরে গেছে। তাদের কাছে তাদের জন্য সব বছরই চ্যালেঞ্জ। কিন্তু জনগণ প্রকৃতপক্ষে গত ১২ বছরে বহুদূর এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু প্রায় হয়ে গেছে এবং সেটি নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এ করোনাকালীন সময়ে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০০ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৬৪ ডলার হয়েছে। এগুলো তারা দেখেন না এজন্য তারা অন্ধকারে আছে। আমি আশা করবো, আগামী বছর তারা চোখটা খুলবেন।
নতুন বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব চ্যালঞ্জ মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। গত ১২ বছরে চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আগামী বছরও তার কোন ব্যতিক্রম নয়। আমি আশা করি, আগামী বছর বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে এসে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসবে। কিন্তু সেটির আসার সম্ভবনা ক্ষীণ। নেতিবাচক রাজনীতি আগামী বছর মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়া সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতো জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা সেটিকেও মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো আমরা অতীতেও মোকাবেলা করেছি আগামীতে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দলকে আরো সুসংহিত করতে চাই। আমরা মনে করি, দলের কারণেই আজ আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। দলের মধ্যে যদি সুযোগ সন্ধানীরা থাকে, দলের মধ্যে বিভিন্ন কারণে নিজস্ব স্বার্থ হাসিলে দল করে তাদের জন্য দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা এ ধরনের যারা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের চিহ্নিত করে দলীয় পদ থেকে দল থেকে বাদ দেওয়ার সেই কাজটা শুরু করেছি। আগামী বছরও সেটি অব্যাহত থাকবে।