বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আলাদা একটি মেডিকেল ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩৭তম বিসিএস-পুলিশ ব্যাচের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন সরকার প্রধান। তিনি পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও আলাদা একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করে দেয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
বলেন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমি ধন্যবাদ জানাই, পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের হাসপাতালে এই চিকিৎসা সেবা দিতে পেরেছে। এজন্য আমি চিন্তা করি, আমাদের পুলিশে বোধহয় আলাদা একটা মেডিকেল ইউনিট গঠন করা একান্তভাবে দরকার। তাদের নিজস্ব একটা ইউনিট থাকুক। যারা অন্তত এই চিকিৎসা সেবাটা দেখবে।
ঢাকার বাইরে পুলিশ হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত ও আধুনিক করার উদ্যোগ নেয়া এবং থানাগুলোর সংস্কারের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানোর কথা প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে।
সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশকে জোরালো ভূমিকা রাখার কথা বলেন সরকার প্রধান। বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরন পাল্টেছে, সাইবার অপরাধ বেড়েছে। পুলিশকে এই অপরাধ দমনে সক্রিয় হতে হবে।
জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ যে তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে এবং মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, সে কথাও তিনি বলেন।
প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্ব দেখানো পুলিশ সদস্যদের এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।