নিজেদের খাদ্য নিজেদেরই উৎপাদন করতে হবে৷ না হলে করোনায় যদি খাদ্যসঙ্কট দেখা দেয়, তখন টাকা থাকলেও খাদ্য মিলবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে রোববার (৩ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে যদি খাদ্যসঙ্কট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, অনেক ক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের জনসংখ্যা প্রতিবছর ২২ থেকে ২৩ লাখ বাড়ছে। অথচ নানান কারণে চাষের জমি কমছে। এ স্বল্প জমি থেকেই মানুষের খাদ্য এবং প্রাণি ও পোল্ট্রির ফিডের যোগান দিতে হবে। সেজন্য কৃষি বিভাগের সবাকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে থেকে গতানুগতিক কাজ করলে হবে না। বরং মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শনে যেতে হবে। দেশের কোনো এলাকায় কী চাষ করা যাবে বা সম্ভাবনা আছে তা চিহ্নিত করে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। যাতে করে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সম্পাদনের পরপর দুই বার কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয স্থান অর্জন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ সাফল্যের পরও আমাদের সবাইকে আরও তৎপর থাকতে হবে, এপিএ বাস্তবায়নে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এবার ২০১৯-২০ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। পরপর দুই বার কৃষি মন্ত্রণালয় এপিএ সম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।