ইরান ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করেছে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরাইল।
সোমবার দেশটির সরকারের মুখপাত্র আলী রাবিয়ি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির নির্দেশে ফোরদো স্থাপনায় ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিবিসি বলছে, এটি এখন পর্যন্ত ২০১৫ সালের বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন।
একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার জন্য শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। সে হিসেবে ইরানের কাছে এখনো ওই পরিমাণে ইউরেনিয়াম নেই। তবে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের এই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৪ শতাংশ এর নিচে রাখার কথা ছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে এনে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন। এর পর থেকেই ইরান এই চুক্তি লঙ্ঘন শুরু করে।
ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটি পারমাণবিক চুক্তির অনেক ধারা লঙ্ঘন করেছে।
তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ইসরাইল এতে অনুমতি দেয় না।
আলী রাবিয়ি বলেন, ফোরদো স্থাপনায় গ্যাস প্রবেশ করানোর প্রস্তুতি সংক্রান্ত কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড বা ইউএফসিক্স এর প্রথম ফলাফল হাতে আসবে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)- কে জানানোসহ সব ধরনের নিয়ম মেনেই এ কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় গত মাসে ইরানের পার্লামেন্ট পরমাণু সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা বিষয়ক একটি আইন পাস করে।
ওই বিলটিতে বলা হয়েছে হয়েছে যে, ইরানের তেল ও আর্থিক খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো দুই মাসের মধ্যে শিথিল না করলে ইরানের সরকার ২০শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ আবারও শুরু করবে।
নাতাঞ্জ এবং ফারদো ইরানের পরমাণু স্থাপনায় জাতিসংঘের পরিদর্শকদের যেন যেতে দেয়া না হয় সে বিষয়ে ওই আইনে আদেশ দেয়া হয়েছে।