বাংলাদেশে গণতন্ত্র না আসার একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগ নয়, বিরোধী দলও সমভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বিরোধী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি কিশোরি ফেলানী।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে দখল করা ছাড়াই ভারতের সিকিম রাজ্যে পরিণত হবে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত করা ছাড়া মুক্তির উপায় নাই। বাংলাদেশে গণতন্ত্র না আসার একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগ নয়, বিরোধী দলও সমভাবে দায়ী।
তিনি বলেন, ফেলানী হত্যা দিবস আমাদের নিজেদের স্বার্থে দুটি কাজ করতে হবে। দুইটা ভাস্কর্য করতে হবে। একটা কুড়িগ্রামের সীমান্তে, যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর একটা বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তায়। আর ভারতীয় দূতাবাসের সামনে রাস্তার নাম হওয়া উচিত ফেলানী।
জাফরুল্লাহ বলেন, আজ সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে কেন আমি ভোট দেবো? কেন আমার ভোট চাই? এই দেশের মালিক আমরা।আমরা সবাই মিলে এই দেশের মালিক। তাই যদি হয় তাহলে দেশের পরিচালনায়, শাসনে আমাদের বক্তব্য রাখার অধিকার থাকতে হবে। সমালোচনা করার অধিকার থাকতে হবে। জবাবদিহি করার অধিকার থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি এটা মুসলমানদের দেশ। আলেম সমাজের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, তারা গান-বাজনা শুনলে বিয়ে পড়াবেন না, জানাজা পড়াবেন না। এইসব দিকে সময় ব্যয় না করে জনগণের অধিকার আন্দোলনের জন্য সোচ্চার হোন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এলভার্ড পি কষ্টা, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ এর সভাপতি একেএম রাকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।