টিকা নিয়ে সরকার ‘তেলেসমাতি’ খেলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে সরকার করোনার টিকা নিয়ে তেলেসমতি শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব বলছেন, এটা জি টু জি( গর্ভমেন্ট টু গর্ভমেন্ট) চুক্তি হয়েছে ভারতের সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়েছে। বেক্সিমকো বলল যে, না এটা একটি বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছে। কোনটা বিশ্বাস করবেন? এর মধ্য দিয়েই বুঝা যাচ্ছে যে, একটা শুভঙ্করের ফাঁকি।
রিজভী বলেন, টিকা সংগ্রহের জন্য একনেকে ৬ হাজার কোটি টাকা পাস হয়েছে। আমরা বলে দিচ্ছি- এই টাকার পুরোটাই লোপাট হবে। এই টাকার একটা বড় অংক চলে যাবে সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে বেআইনিভাবে। যে সরকার নিজের জনগণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে, যে সরকার দেশের জনগণকে মহামারীর মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। আর নিজেরা প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের একেবারে এমন এক বৃত্তের মধ্যে আছেন সেখানে মশা-মাছি দূরে থাক, ভাইরাসও ঢুকতে পারবে না। এই ধরনের স্বার্থপরতা নিয়ে যারা দেশ শাসন করে তারা কখনোই জনগণের বন্ধু হতে পারে না।
সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনার জন্য ‘নতজানু পররাষ্ট্র নীতি’কেই দায়ী করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, আজকে ভোটারবিহীন, জনসমর্থনহীন, ম্যান্ডেটহীন, নিশিরাতের সরকার সে ভারতের কাছে আত্মাসমর্পণ করেছে। এ কারণেই যারা তাদেরকে টিকিয়ে রেখেছে তাদেরই মোসাহেবি করছে, তাদের এই গোলামী করছে।
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে বিএনপি দ্রব্যমূলের উর্ধবগতির প্রতিবাদে ও বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে নববন্ধন কর্মসূচি হচ্ছে। এই মুর্হুর্তে জনগণের দাবি যে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে। প্রতিদিন মানুষের বেকারত্ব বেড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকার জিনিসপত্রের দাম কমেনি, শুধু বেড়েই চলেছে। ঢাকায় বাড়ি ভাড়াও বাড়ছে। আমরা আছি কোথায়? আজকে সকলকে মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। নইলে জনগণ মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয়তাবাদী শক্তির নতুন প্রজন্মকে আরও সংগঠিত হওয়ার আহবানও জানান রিজভী।
সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে উদ্যোগে সেন্টার ফর ন্যাশনারিলজ স্ট্যাডিজ (সিএনএস) এর উদ্যোগে ‘ফেলানী ও সীমান্ত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের ট্রাস্টি ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।