রাজশাহীর বাগমারায় জোঁকাবিলের বিরোধ নিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শহিদুল ইসলাম ভুট্টু (৪২) নরদাশ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও হাটমাধনগর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ নেতা ভুট্টু হাটমাধনগরে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় স্থানীয় আনিছুর হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি আশরাফ আলী ও আফসার হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি তাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় জোঁকাবিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের পক্ষে কেন অবস্থান নিয়েছেন এ নিয়ে কৈফিয়ত চায় হামলাকারীরা।
একপর্যায়ে হামলাকারীরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে ভুট্টুকে পিটিয়ে জখম করে। তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ভুট্টুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিবুর রহমান আহত ভুট্টুর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, আলোচিত জোঁকাবিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান নেওয়াতে ভুট্টুকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, জোঁকাবিলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৮ সালে প্রতিপক্ষের লোকজন আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি ওই বিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ওই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি আশরাফ আলী ও আফসার হোসেনসহ অন্যরা জামিনে বেরিয়ে আসেন। তারা পুনরায় বিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, হামলাকারীরা বিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে অভিযুক্ত আফসার হোসেন এবং আশরাফ আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।