সদ্যবিবাহিত মেয়েকে বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের অভিযোগ, বিয়ের পরেও সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। পরে বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিজের মেয়েকেই গুলি করে হত্যা করেন বাবা। এরপর থানায় ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর এলাকার জয়শিংপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইন্ডিয়া টিভি জানায়, স্বাতী নামে ২০ বছর বয়সী তরুণীকে এক বছর আগে কানপুরে বিয়ে দেওয়া হয়। তার অবৈধ সম্পর্ক থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাকে বাবার বাড়িতে ফেরত দিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা অনিল কুমার জানান, প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বাবা চন্দ্রমোহন সিংয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। মেয়ে সম্পর্ক ছাড়তে অস্বীকার করায় বাবা তার লাইসেন্সধারী বন্দুক দিয়ে গুলি করেন। এতে মেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে তিনি পুলিশ স্টেশনে ফোন করেন এবং গ্রেফতারের জন্য অপেক্ষা করেন।
পরে পুলিশের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই স্কুটার চালিয়ে স্থানীয় থানায় হাজির হন। সব শুনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, চন্দ্রমোহনের দাবি করেছেন- মেয়েকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন চন্দ্রমোহন। ময়নাতদন্তের জন্য স্বাতীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চন্দ্রমোহনের লাইসেন্স করা বন্দুকটিও জব্দ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না স্বাতীর মা ও ভাইয়ের। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।