প্রথম দফায় দুই সংস্থার ভ্যাকসিন মিলিয়ে আগামী শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে ভারতজুড়ে যে ৩০ কোটি করোনার টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে তারমধ্যে, পশ্চিমবঙ্গ পাচ্ছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ভ্যাকসিন।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে শনিবার (৯ জানুয়ারি) এমন নির্দেশনা আসার পর রোববার (১০ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে বিনামূল্যে করোনার টিকা পৌঁছে দিতে চায় বলে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মমতা সরকার।
বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের সরকার, রাজ্যের সব মানুষের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ’ মোট ৪৭টি ভ্যাকসিন ভ্যানের মাধ্যমে প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গে ১০ লাখ ৮০ হাজার ভ্যাকসিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।
ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে পুনের গবেষণাগারে সিরাম তৈরি করেছে ‘কোভিশিল্ড’। যা অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের অনুরূপ হলেও সম্পূর্ণ সমতুল নয়। তাই সেটি ভারতীয় সংস্থার নির্মিত হিসেবেই বিবেচিত। অন্যদিকে, হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থার ‘কোভ্যাকসিন’ সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা।
তবে প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন পাবে বিনামূল্যে। তা কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকারও রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
মূলত, ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু টিকা দেওয়ার প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি ভারতীয় যে ভ্যাকসিন পেতে চলেছে তাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, পুলিশ, সাফাইকর্মীদের মতো প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের। এ সংখ্যা তিন কোটি। এর পরবর্তী পর্যায়ে ২৭ কোটি ভ্যাকসিন বিলিয়ে দেওয়া হবে দেশের পঞ্চাশোর্ধ্ব সাধারণ মানুষ এবং জটিল রোগ থাকা ৫০ বছরের কম বয়সীদের।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ভারতে শুরু হয়েছিল লকডাউন। প্রাথমিকভাবে বোঝা যায়নি করোনার সংক্রমণ কতটা তীব্র হতে চলেছে। তাই দফায় দফায় ভারত এবং বিশ্বের বহু দেশে লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে থাকে। বিপজ্জনকভাবে বেড়ে চলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। আতঙ্ক ও হাহাকার গ্রাস করে ভারতবাসীকে।
বিগত ১০ মাস ধরে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রত্যেক ভারতবাসীর একটিই কামনা ছিল। কবে আসবে কোভিড প্রতিরোধী টিকা? অবশেষে আগামী শনিবার সেই কাঙ্ক্ষিত ক্ষণটি উপস্থিত হচ্ছে।